অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বগুড়া সারিয়াকান্দিতে জব্দকৃত ১১৩০ বস্তা চালসহ সিলগালা করে রাখা গুদামের চাল চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ। চাল পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ১টি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আশরাফুল আলম, উপ-পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম, হোসেন আলী, খোকন চন্দ্র দাস, গোলাম রসূলসহ একাধিক পুলিশ সদস্য চাল চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পৌর এলাকার বাগবেড় গ্রামের মৃত নুরু প্রাং এর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), আন্দরবাড়ী গ্রামের তোফা ফকিরের ছেলে রুসাত ফকির (২৮) ও সোনা মিয়ার ছেলে রায়হান কবির (২৭)।
জানা গেছে, ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার বাগবেড় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা শাহাদৎ হোসেন এর নির্মানাধীন বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম। অভিযান শেষে বাগবেড় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে স্বার্থহীন আলম এর নিয়ন্ত্রণে থাকা ১১৩০ বস্তা চাল জব্দ করে গুদামটি সীলগালা করে এবং ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ না থাকায় ও কৃষি বিপনন লাইসেন্স না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এর অনুলিপি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়েও প্রেরণ করা হয়। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উক্ত গুদামে উপস্থিত হয়ে সিলগালা খোলেন সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতিকুর রহমান, বগুড়া জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনিরুল হক, কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক মো. মাহবুবুল হক, সারিয়াকান্দি থানা পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা। গুদাম পরিদর্শনের সময় মাত্র ৬ বস্তা চাল দেখতে পারেন কর্মকর্তারা। ফলে গুদামটিতে থাকা ১১২৪ বস্তা চাল উধাও হওয়ার ঘটনার সূত্রপাত হয়। যার ওজন ৩৩ হাজার ৭২০ কেজি এবং এর আনুমানিক মূল্য ১১ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা। পরে গুদামটি আবারও সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর সিলগালা করে রাখা গুদামের চাল চুরির অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমান।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজ মুখে স্বীকার করে এবং ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামিদের জবানবন্দিতে চাল চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত মুল হোতাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করলেও তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
Leave a Reply