অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নিউইয়র্কের বাফেলো শহরটি তুষারে ঢেকে গেছে। প্রবল ঝড়ের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পেতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে সেখানকার লোকজন।
ভয়াবহ দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো কেটে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানকার নিরীহ মানুষ। এর মধ্য দিয়ে ওই শহরে অর্থনৈতিক ও জাতিগত বৈষম্যের বিষয়টি আগের চেয়ে আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে জমাট বরফে আটকে পড়া বাড়িঘরে বসবাসকারী নাগরিকদের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে। একদিকে তাদের খাবারের অভাব অপরদিকে রাস্তাঘাট এখনও বরফে ঢাকা পড়ে আছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবধান অনেক আগে থেকেই এই শহরটিতে তীব্র মেরুকরণ তৈরি করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৩০ টিরও বেশি মৃতদেহ বাড়ি, গাড়ি কিংবা বরফের নীচে পাওয়া গেছে। বাফেলোর একজন বাসিন্দা ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন: শহরটি অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সমস্যাগুলোর বেশিরভাগই দরিদ্র মানুষ এবং কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারগুলোর সাথে সম্পর্কিত৷ বাফেলো আমেরিকার সবচেয়ে দরিদ্র শহরগুলোর একটি। এখনও সেখানকার অধিবাসীদেরকে জাতিগত বৈষম্যের শিকার হতে হয়। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরও শহরটি করোনা মহামারীতে আক্রান্ত।
এমন সময় ব্যাপক দারিদ্র্যের কারণে বাফেলো শহরে কয়েক ডজন মার্কিন নাগরিক মারা গেল যখন বাইডেন সরকার দেশের নতুন বছরের বাজেটে ইউক্রেনকে আর্থিক, সামরিক ও অস্ত্র সহায়তা খাতে প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করছে।
২০২২ সালেও বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। ইউক্রেনকে আমেরিকা শুধুমাত্র যুদ্ধ অব্যাহত রাখার জন্য ৮ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা দিয়েছে। অথচ নিজ দেশের বাফেলো শহরে দারিদ্র্য, তুষারপাত এবং প্রবল ঝড়ের কারণে কয়েক ডজন মার্কিন নাগরিক মারা গেছে। আরও অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
বাইডেন সরকারও ট্রাম্পের মতোই সামরিক বাজেট বাড়িয়েছে। এভাবে সামরিক বাজেট বৃদ্ধি করার ফলে মার্কিন নাগরিকরা তাদের প্রয়োজনীয় বহু চাহিদা ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই সামরিক বাজেট বৃদ্ধির সুবিধা ভোগ করছে আমেরিকার অস্ত্র নির্মাণ শিল্প কমপ্লেক্সের কতিপয় স্বার্থান্বেষি চক্র। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সমগ্র বিশ্বে।
Leave a Reply