অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এখনো মাঝারি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে ২৭ জেলায়। শীতের সাথে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। কষ্টের জীবন কাটছে ছিন্নমূল মানুষের। আরো কিছু দিন শীতের দাপট চলবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
উত্তরের হিম বাতাসে হাড়কাঁপানো শীত। এই শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালানো আগুনের উত্তাপই নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে নাকাল দেশের ২৭ জেলার মানুষ।
একজন বলেন, “শীতে হাত পা কোঁকড়া লেগে যাচ্ছে, তাই আগুন তাপাচ্ছি। এ অবস্থায় বাচ্চাকাচ্চা স্কুলেও যেতে পারছে না।”
বিভিন্ন স্থানে কুয়াশায় ঢেকে থাকে প্রকৃতি। শীত আর কুয়াশার কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। তারপরও জীবিকার তাগিদে ঘরে বসে থাকলে চলে না অনেকেরই। মাঘের শীত যতই কাঁপন ধরাক হাড়ে, কাজে বের হওয়ায় নিস্তার নেই।
একজন বলেন, “কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারিনা। কাজেও যেতে পারিনা।”
ঘনকুয়াশা আর সূর্য কিরণের অভাবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমেছে।
চলতি মাসে দেশের কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির উপরে ছিল না। আর ঢাকায় এ মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, শৈত্যপ্রবাহ থাকবে আরো কিছু দিন। বাড়বে বিস্তৃতি। নতুন করে আরো কিছু জেলায় ওপর দিয়ে বইতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও। সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
Leave a Reply