অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর খরচ কমাতে প্রয়োজনে সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। অভিবাসন ব্যয় কমানোসহ প্রয়োজনে আরো নতুন সংযোজনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রী। আর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি মাসেই ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বসবে ঢাকা-কুয়ালালামপুর।
পরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল জানান, বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগ হচ্ছে,তা পুনর্মূল্যায়ন করছে মালয়েশীয়া।
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দীর্ঘ টানাপোড়নের পর মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় বাংলাদেশের। এরপর কর্মী প্রেরণের পদ্ধতি ঠিক করতেই কেটে যায় আরও প্রায় ৮ মাস। সব জটিলতা শেষে ২০২২ সালের আগস্টের শেষ দিকে দেশটিতে কর্মী যাওয়া শুরু হয়। তবে, নানা জটিলতায় এখনো কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক কর্মী পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার সকালে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বৈঠক শেষে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, ‘কর্মীদের স্বার্থে প্রয়োজনে সমঝোতা স্মারক পরিবর্তন, অভিবাসন ব্যয় কমানোর প্রক্রিয়া নিয়ে একমত হয়েছে মালয়েশিয়া। চলতি মাসেই ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এসব বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল জানান, বর্তমান প্রক্রিয়ায় তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো না গেলে, পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত রয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। তিনি আরো জানান, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া মালয়েশিয়ায় বসবাসরত কর্মীদের যে বৈধকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে তাতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাংলাদেশি কর্মীরা।
গত শনিবার বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সফর এসেছেন দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী কাজ করে মালয়েশিয়ায়। এর মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশের কর্মীরা। ৪ লাখ ৪৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী কাজ করে নির্মাণ, কৃষি, উৎপাদন, সেবা খাতে। আরও পাঁচ লাখ নতুন কর্মী নিতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। এ চাহিদা পূরণ মালয়েশিয়ার অগ্রাধিকার। তাই নিয়োগপ্রক্রিয়া সহজতর করা ও ব্যয় কমানোটাই লক্ষ্য।
মালয়েশিয়ায় নানা কারণে অবৈধ হয়ে পড়া কর্মীদের বিষয়ে জানতে চাইলে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবৈধ কর্মীদের বৈধ করার জন্য ইতিমধ্যে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মী।
Leave a Reply