অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় দেশের ছয় জেলায় ১৫ লাখ পরিবার পাচ্ছে ফ্রি চিকিৎসা। তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এই টাকায় ওই ১৫ লাখ পরিবার, বছরে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে পাবে।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পবিার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এ সেবা পাওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় এটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজের আওতায় এটি করা হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকি। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে আমরা আরও জোরদার করতে যাচ্ছি। আমরা ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আটঘণ্টা সেবার পরিবর্তে সাত দিনে চব্বিশ ঘণ্টায় নিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা ৫০০টি ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ঘোষণা দিয়েছি, পর্যায়ক্রমে সবগুলো উপজেলায় এ সেবা পৌঁছে যাবে। প্রাথমিক সেবাকে আরও জোরদার করার জন্য আমাদের ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারকে ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত করতে চাচ্ছি।
এসএসকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিকে একটি জেলা থেকে ছয়টি জেলায় বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এর আওতায় প্রায় ৬০ লাখ লোক চলে আসবে। বছরে ১৫ লাখ পরিবার ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ ওষুধ এবং সেবা পাবেন। ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে এটা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো জেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহিলাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। সব উপজেলায় স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম রয়েছে। এ প্রোগ্রামকে আরও ব্যাপকভাবে শুরু করার প্রক্রিয়া চলমান। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি ভ্যাকসিন রয়েছে, যার নাম এইচপিভি ভ্যাকসিন। আমরা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব মহিলাকে এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশের নারীরা স্তন ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে যে মেমোগ্রাফি মেশিন লাগে সেটি আমাদের দেশে কম রয়েছে। প্রতিটি জেলা পর্যায়ে অন্তত আমরা যেন এ মেমোগ্রাফি মেশিন দিতে পারি সেই চেষ্টা চলমান, পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোয়ও এ মেশিন দেয়ার চেষ্টা করব।
Leave a Reply