অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লেগে আছে সর্দি, কাশি ও জ্বর। এর মধ্যেই রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় নতুন করে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। করোনা, হাম, রুবেলা ও ডেঙ্গুর পর এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
গত দু মাসে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
সম্প্রতি কলকাতার বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতলে দক্ষিণ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গরের মেহেদী হাসান নামে এক শিশু ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়। পরে তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ‘সিভিয়ার নিউমোনিয়ার’ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃত শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কি না সে বিষয়ে চিকিৎসকরা এখনো নিশ্চিত নয়।
গত ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে যত শিশু ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যু হওয়া শিশুদের বয়স দুই বছরের মধ্যে।
রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর করা নজর রাখছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তর। তাদের নির্দেশে কলকাতাসহ সব জেলা হাসপাতালে প্রত্যেকদিনের রিপোর্ট সরাসরি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মকর্তার কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
চিকিৎসক বাসুদেব মন্ডল জানান, অ্যাডিনো ভাইরাস করোনাভাইরাসের কোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট কি না তা জিনোম সিকোয়েন্স টেস্টই নির্ধারণ করতে পারে।
তবে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। সর্দি-কাশি-জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।
বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকুন। তিনদিনের বেশি সময় ধরে জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি ও পেট খারাপ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে।
যে শিশুদের বয়স দু বছরের কম তাদের এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে আলাদা রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Leave a Reply