অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিম বাংলার ব্যবসায়ীরা। কলকাতার ব্যবসায়ী সংগঠন বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ঢাকা সফররত নেতৃবৃন্দ আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেজা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সংস্থাটির সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রসমূহ যাচাইয়ের জন্য বেঙ্গল চেম্বারের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। মতবিনিময় সভায় বেজার সার্বিক কর্মকান্ড নিয়ে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করেন সংস্থার মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হাসান আরিফ।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, শিল্পায়ানের স্বার্থে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য উৎপাদন বা রপ্তানি আয়ের প্রত্যাশা রয়েছে।
তিনি জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে ৩৮টি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে রয়েছে ৫টি এবং বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল ৩৩টি। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের প্রথম পরিকল্পিত ও স্মার্ট শিল্প নগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রয়োজনীয় সকল ইউটিলিটি সুবিধা সেখানে নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি জানান, দাখিলকৃত বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুযায়ী এখানে মোট বিনিয়োগ ১৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে।
বেঙ্গল চেম্বার প্রতিনিধিদলের সদস্যদের প্রশ্নের উত্তরে ইউসুফ হারুন বলেন, বেজা দুইটি ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে, যার একটি দু’দেশের সীমান্তবর্তী স্থান মোংলায় এবং অপরটি চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের মিরসরাই অংশে অবস্থিত। তিনি জানান, এ অঞ্চলসমূহের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন ছাড়াও আইনী দলিল প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, দু’দেশের সীমান্তবর্তী আরও কিছু স্থান যেমন কুষ্টিয়া, পঞ্চগড়, বগুড়া, নীলফামারীতেও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বেজা কাজ করছে। এশিয়ান পেইন্টস, ম্যারিকো, সাকাতাসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করেছে।
কলকাতার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জুয়েলারি শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে কর অবকাশ, বিনিয়োগের প্রকৃতি, আমদানি রপ্তানি বিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। তারা ম্যানুফাকচারিং শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং, জ্বালানী, বিদ্যুৎ, আইটি, শিক্ষা, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা, জাহাজ শিল্প ও সেবা খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধিদলের প্রধান বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট গৌতম রায় বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।
Leave a Reply