অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানে আবারও গ্যাসপ্রয়োগের ফলে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। শনিবার (৪ মার্চ) আরও একশর মতো শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে দেশটির কোম শহরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে ৭০০ ছাত্রীকে বিষপ্রয়োগ করার অভিযোগ উঠে। গত নভেম্বর থেকে এ ঘটনা ঘটে আসছে। বিষক্রিয়ায় কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়নি। তবে তাদের অনেকেই শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও ক্লান্তিতে ভুগছে। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে তেহরানের প্রশাসন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেন অভিভাবকরা।
ইরানের স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হামেদান ও পার্শ্ববর্তী কাবুদারাহাং কাউন্টিতে ১২০ জনের বেশি মেয়েকে বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ও মাথা ঘোরার জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর পশ্চিমে এসলামশাহর, শাহরিয়ার এবং রোবাত করিমসহ তেহরানের নিকটবর্তী পাঁচটি শহরের বালিকা বিদ্যালয়েও সন্দেহজনক বিষক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পবিত্র শহর কোম যেখানে প্রথম বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে সেখানে ৪৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উর্মিয়া শহরের একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ জন ছাত্রী ও ৩ জন স্টাফ বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। শনিবার ওয়াহিদি এক বিবৃতিতে বলেন এসব ঘটনায় কোনো মৃত্যু হয়নি এবং ৫২টি স্কুল থেকে সংগ্রহ করা ‘নমুনা’ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এর আগে রোববার দেশটির উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের শিক্ষা বন্ধের উদ্দেশ্যে কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে, পরে তিনি বলেন, তার বক্তব্যকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়।
ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি বলেছেন, বিষপ্রয়োগের বিষয়টি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। পানাহির বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, কোমের স্কুলগুলোর বেশ কিছু শিক্ষার্থী বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর দেখা গেছে, কিছু লোক চেয়েছিল সব স্কুল, বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাক। সূত্র: ব্লুমবার্গ, রয়টার্স
Leave a Reply