অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গায় কোমল পানীয় কোকাকোলা পান করে অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন একই পরিবারের ছয়জন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে কোমল পানীয় পান করে তারা অসুস্থ হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ।
অসুস্থরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের কৃষি খামারের মালিক তেইপুর গ্রামের শেখের পাড়ার আসাবুল হকের ৪ ছেলে ইয়াছিন (২২), হুসাইন (১৭), হাসাইন (১২) ও আব্দুল হাকিম (৭) এবং কৃষি খামারের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়াজ (৩৫) ও কর্মচারী সোহাগ হোসেন (২৭)।
কৃষি খামারের কর্মচারী সোহাগ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ে কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। এসময় ভালাইপুর মোড়ের একটি দোকান থেকে ৫০০ মিলিলিটারের একটি কোমল পানীয় কোকাকোলা কিনে বাড়িতে যায়। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরে ওই কোকাকোলা সবাই মিলে ভাগাভাগি করে পান করি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
কৃষি খামারের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়াজ বলেন, কোকাকোলা পান করার কিছুক্ষণ পরই আমরা সবাই অসুস্থ হই। আমার মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে এবং আমি দুর্বল হয়ে যায়। বাকি ৫ জনের মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। প্রতিবেশিরা সকালে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
একই গ্রামের কুরবান আলী বলেন, শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে আমি তাদেরকে দেখাতে বাড়িতে যায়। অবস্থা খারাপ দেখে বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
আসাবুল হকের স্ত্রী সাহানাজ পারভীন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কোকাকোলা পান করার পর আমার ৪ ছেলেসহ কৃষি খামারের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়াজ ও কর্মচারী সোহাগ অসুস্থ হয়ে পড়ে। যেহেতু রিয়াজ ও সোহাগ আমাদের বাড়িতেই থাকে। সে কারণে তারা আমার পরিবারেরই সদস্য মনে করি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া মা আরিজ বলেন, সকালে অসুস্থ হয়ে ৬ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। ওই পরিবারের লোকজনের অভিযোগ তারা কোকাকোলা পান করে অসুস্থ হয়েছে। আমরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে কোমল পানীয় কোকাকোলা পান করা হয়েছিল বোতলের গায়ে লেখা অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে এখন ৩ মাস বাকি আছে।
Leave a Reply