অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :পানির অপর নাম জীবন হলেও মানুষ এক সময় পানির জন্য হাহাকার করত। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাগরিক সেবায় পানি ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের স্বীকৃতি এই পুরস্কার।
রবিবার ঢাকা ওয়াসার পার্টনার ড্রিংকওয়েল এটিএম প্রোগ্রামের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্পোরেট এক্সিলেন্স পুরস্কার ২০২২ প্রাপ্তি ও হস্তান্তর উপলক্ষে ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার সুযোগ না পেলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ছোট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ আজ তার বিশাল জনসংখ্যার সবার ক্ষুদার চাহিদা মেটাতে পারছে।
তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন করেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল বা কর্নফুলি টানেল এক সময় অকল্পনীয় ছিল কিন্তু তা এখন বাস্তব।
তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে সরকারের সাফল্য তুলে তিনি বলেন, এখন গ্রাম ও পাহাড়ের মানুষও বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আসার ফলে সবক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রী পানির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, গৃহ্যস্থ, কৃষি বা শিল্পখাতে পানির দরকার থাকলেও খাবার সুপেয় পানির অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার পার্টনার ড্রিংকওয়েলের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্পোরেট এক্সিলেন্স পুরস্কার ২০২২ প্রাপ্তি আমাদের জন্য গৌরবের কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশে মানুষ এখন পানিও কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করতে পারছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে এ রকম অনেক অসম্ভব বিষয় আজ বাস্তবতায় পরিনত হয়েছে। ফলে মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি সেবা পাচ্ছে এবং তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে।
ড্রিংকওয়েলের মত বেসরকারি উদ্যোগকে ওয়াসা সহায়তা করার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পানি প্রাপ্তি সহজ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
Leave a Reply