অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পদ্মাসেতু বাঙালি জাতির গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রবল বাধা অতিক্রম করে বাঙালির সেই অহঙ্কার আজ বাস্তব উল্লেখ করে যেকোন বাধা অতিক্রমে জনগণকেই পাশে চান বঙ্গবন্ধু কন্যা। পদ্মাসেতুর সরকারি ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ করে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (৫ মার্চ) গণভবনে পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধের প্রথম চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডে দুঃখপ্রকাশ করে সামর্থ অনুযায়ি সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে এমন একটা দুর্ঘটনায় কত মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে, তাদের সত্যিই যে কষ্টটা, তাদের কান্না, এটা সহ্য করা যায় না। ইতোমধ্যে আমি বলে দিয়েছি তাদের যতটুকু পারি সাহায্য করবো এবং কার কী রকম ক্ষতি হয়েছে, এটা দেখবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবাজার মার্কেটে একবার ১৯৯৫ সালে আগুন লাগে। এরপর আবার ২০১৮ সালে আগুন লাগে। তারপর আমরা এখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করার প্রকল্প গ্রহণ করি। তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। পরে হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘সে সময় যদি এটা স্থগিত না করতো, তাহলে আমরা এখানে একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম। তাহলে আজ এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতো না।’
বাঙালির অহংকার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। পদ্মাসেতুর নকশা প্রণয়নে ঋণ দিয়েছিল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি। দুই শতাংশ সুদে ৩০ বছরে সেই ঋণ শোধ করতে হবে, যার মেয়াদ শেষ হবে ২০৩৭ সালে। নির্মাণ ব্যয়ে অনুদানের ৩শ’ কোটি টাকার বাইরে অর্থবিভাগকে শর্ত অনুযায়ি সুদসহ পরিশোধ করতে হবে প্রায় ৩৬ হাজার ৪শ ৩ কোটি টাকা।
গণভবনে সেতু বিভাগের আয়োজনে অর্থবিভাগকে ৩শ’ ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির চেক হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই সম্পন্ন হয় প্রথম সেই আনুষ্ঠানিকতা।
খরস্রোতা পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সাহসিকতা এবং নির্মাণযজ্ঞ নিয়ে চক্রান্তের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজয়ী জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে আনা বাঙালির গর্ব পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের মতো যেকোন বাধা অতিক্রমে জনগণকে পাশে চান বঙ্গবন্ধু কন্যা।
Leave a Reply