অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজশাহীতে গরুর গোয়াল ঘরে তৈরি হচ্ছে আখের গুড়। তবে গুড়ে আখের ছিটেফোঁটাও নেই। আখের গুড় তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বেশ কিছু উপাদান। রাজশাহীর বাঘায় এমনই সাতটি ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় র্যাব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তারা সাত ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজানে আখের গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। রমজান এলেই তৎপর হয়ে ওঠেন ভেজাল গুড় ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও এসব এলাকায় সারা বছরই আখের গুড় তৈরি হয়। যদিও আখের মৌসুমে এসব গুড় তৈরির কারখানা পরিচালনা করতে দেয় না রাজশাহী সুগার মিলস কর্তৃপক্ষ। তারপরও কিছু লোক লুকিয়ে পাওয়ার কাশার (আখ মাড়াই মেশিন) দিয়ে আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি করেন। আর আখের মৌসুমের শেষে তারা চিনি দিয়ে আখের গুড় তৈরি করে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, বাঘার চকসিংগা পাঁচপাড়া এলাকার কারখানায় ভেজাল গুড় তৈরি হচ্ছে- এমন খবরের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর একটি দল রাজশাহী বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে গুড় কারখানার মালিক মনিরুল ইসলাম ও তার ভাই শরিফুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা, রতন গুড় কারখানার মালিক মিনা রানীকে ২০ হাজার, কাজিম গুড় কারখানার মালিক কাজিম উদ্দিনকে ২০ হাজার, সবুজ কারখানার মালিক সবুজ আলীকে ৩০ হাজার, রকি গুড় কারখানার মালিক রকি আহম্মেদকে ২০ হাজার, মিঠুন গুড় কারখানার মালিক মিঠুন আলীকে ৫০ হাজার ও আলাউদ্দীন গুড় কারখানার মালিক আলাউদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ভোজাল গুড় ৩ হাজার ৬০০ কেজি, চুন ৫ কেজি, হাইড্রেস ৩ কেজি, সোডা ৬ কেজি, ডালডা ১২ কেজি, রঙ ৪ কেজি, ফিটকিরি ৩ কেজি ও ৫৫০ কেজি চিনি জব্দ করে জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়। সেই সঙ্গে ভেজাল গুড় কারখানার মালিকদের ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, আখ নেই। শুধুমাত্র চিনি দিয়ে তারা গুড় তৈরি করছেন। কয়েকটি কারখানা দেখা গেছে গরুর গোয়াল ঘরে। এই ব্যবসায়ীরা গুড় তৈরির কারখানা হিসেবে গরুর গোয়ালকে বেছে নিয়েছেন। অভিযানে সাত ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Leave a Reply