অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চৌকি বিছিয়ে সীমিত পরিসরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছেন বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
আজ দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধনী আয়োজনে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ কোটি টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এই পুনর্বাসনে সহযোগিতা ছাড়াও আমরা আর্থিকভাবে মানবিক সহায়তা দিবো। আমরা গতকাল কর্পোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে গঠিত তহবিলে কর্পোরেশন নিজস্ব অর্থ থেকে ২ কোটি টাকা অনদ্রান হিসেবে দিবো।’
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আজ থেকেই ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পারছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমার গত রোববারে ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছিলাম। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিলো -ঈদের আগে আমাদের ক্ষদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাদের পুনর্বাসন যেন করা যায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সোমবার ভোর থেকে কাজ আরম্ভ করেছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েক হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে। রাতের মধ্যে ইট বিছিয়ে দিয়েছি। এই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও স্থির করেছিলাম, লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলাম যে – ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যেন আমাদের ক্ষদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা আবার ফিরে আসতে পারে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করি এবং আল্লাহর রহমতে কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় আজ সকাল থেকেই ক্ষদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে।’
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, প্রবাসী বাংলাদেশীসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এটাই বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় ঐক্যের জায়গা। দুর্যোগকালে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই, একে অপরকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেই। আমি আন্তরিকভাবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পূর্ণাঙ্গরূপে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মার্কেটগুলোর দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ঈদের পরে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, সংরক্ষিত আসন-৫ এর কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী এবং ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট ও ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply