ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে মামলা তুলে নিতে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও তার গুন্ডাবাহিনীর হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়াতনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তোভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রিশখালী গ্রামের দিনমজুর মাজেদুল হকের সাথে তার মামা বছির উদ্দিন নটোর সাথে জমাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৫ মে পার্বতীপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে ইজিবাইক ঠেকিয়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীরা মাজেুদলকে কুপিয়ে মারাত্নকভাবে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিনাককুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতী হলে পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেও তার অবস্থার অবনতী হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় গত ৬ মে আহতের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ৭২ ঘন্টার মধ্যে মামলা তুলে না নিলে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। হুমকি দেওয়ার সেই ভিডিও সোস্যালমিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আহত মাজেদুল তার পরিবার নিয়ে ভয়ে এলাকায় যেতে পারছে না। তাই পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় সোহাগ হোসেন, ফারুক হোসেন ও শাহীন হোসেনের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ফলে ইউনিয়নের উত্তপ্ত পরিবেশ ঠান্ডা করতে তিনি বাদীকে মামলা তুলে নিতে সময় বেধে দেন বলে স্বীকার করেন।
হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আজিফ বলেন, আসামীরা জামিনে আছে। তবে বাদীদের কেউ হুমকি ধামকি দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply