অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে বছরের পর বছর চলা তিক্ত সম্পর্কের অবসান চায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। এমন দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক এবং এর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব পাকিস্তানের’। শনিবার সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার জন্য বিভিন্ন সময় দুই দেশের পক্ষ থেকেই আওয়াজ তোলা হলেও অগ্রগতি দেখা যায়নি। ভারতের কাশ্মীরসহ সীমান্ত এলাকাগুলোতে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে আসছে দিল্লি। এসব গোষ্ঠীগুলোকে স্বয়ং ইসলামাবাদ পরোক্ষভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে বলে বরাবরই অভিযোগ মোদি সরকারের। কিন্তু এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে পাকিস্তান। ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের শান্তি আলোচনার আলোর মুখ দেখছে না বিশ্ব।
এমন বাস্তবতার মধ্যেই জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার (১৯ মে) হিরোশিমায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপরই জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জঙ্গিদের মদত দেওয়ার মতো বিপজ্জনক প্রবণতা থেকে নিজেদের বিরত রাখার দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, ‘ইসলামাবাদ দিল্লির যেকোনও উদ্বেগের সমাধান করতে ইচ্ছুক। কিন্তু ইসলামাবাদ ভারতের দিক থেকেও একই আশা করছে’।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের গোয়ায় যান বিলাওয়াল ভুট্টো। সেখানে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এর কয়েক মিনিট পর বিলাওয়ালের সঙ্গে উপস্থিত জয়শঙ্কর আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসসহ ‘সন্ত্রাসবাদের হুমকি’ নিয়ে একটি জোরালো বিবৃতি দেন।
জাপানের সংবাদমাধ্যমটিকে সাক্ষাৎকারে পূর্ব লাদাখে অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে স্বাভাবিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে স্থাপন করতে হলে ওই এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।’
তবে নিজেদের সীমান্তের কোনও অংশ দখলে নেওয়ার মতো আচরণও গ্রহণযোগ্য নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সূত্র: ডন, জিও নিউজ