অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শিক্ষার মান উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে আসছে বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, শিক্ষকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং পেশাটিকে আকর্ষণীয় করতে তাদের মানমর্যাদা বৃদ্ধির ওপরও জোর দিতে হবে। এদিকে, আসন্ন বাজেটের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৬২ শতাংশ বাড়ছে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ অনুসারে, একটি দেশের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত বাজেটের ২০ শতাংশ অথবা মোট জিডিপির ৬ ভাগ। কিন্তু সম্পদের সীমাবন্ধতাসহ নানা কারণে দেশের শিক্ষাখাত কখনো জিডিপির ৩ শতাংশের বেশি বরাদ্দ পায়নি।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। টাকার অংক বিবেচনায় প্রতি অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়লেও বাজেটের আকারের অনুপাতে তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিক্ষার উন্নয়ন ও গুনগত মান বাড়াতে এখাতে জিডিপির ৬ ভাগ বিনিয়োগ চান শিক্ষাবিদরাও। সেই সাথে শিক্ষক পেশাকে আকর্ষণী করতে শিক্ষকদের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি এবং উন্নত প্রশিক্ষণও জরুরি বলছেন তারা।
বাজেটে শিক্ষাখাতকে যথাযথ গুরুত্ব না দিলে দেশে দক্ষ ও মেধারী মানবসম্পদ তৈরি সম্ভভ হবে না। তাই দেশের শিল্প ও সেবা খাতের চাহিদা পূরণ, গবেষণা, আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়াতে শিক্ষায় বাড়তি মনোযোগ দেয়ার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের এডিপিতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ১৮ হাজার ৪৩১ কোটি টাকার চেয়ে যা প্রায় ৬২ শতাংশ বেশি।
Leave a Reply