অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভোলার চরফ্যাশনে দাদিকে বিয়ে করেছেন মো. মিরাজ (২৩) নামে এক যুবক। আর এ বিয়েতে দেনমোহর দিয়েছেন ৭ লাখ টাকা। উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাদের এক নজর দেখতে বুধবার (৩১ মে) থেকে শাহে আলম ব্যাপারী বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।
জানা যায়, মিরাজের দাদা শাহে আলম ব্যাপারী তিনটি বিয়ে করেন। সামসুন্নাহার বেগম (৪২) দাদার তৃতীয় স্ত্রী। মিরাজ দাদার প্রথম স্ত্রীর নাতি। প্রতিটি স্ত্রীকেই শাহে আলম আলাদা করে বাড়িঘর ও জমি করে দিয়েছেন। দেড় বছর আগে শাহে আলম মারা যান। এরপর তিন সন্তানের জননী সামসুন্নাহার একা হয়ে পড়লে তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন মিরাজ।
আরো জানা যায়, প্রায় সময় দাদির সামসুন্নহারের বাড়িতে মিরাজ যাতায়াত করতে থাকলে স্থানীয়রা তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে থাকেন। এ কারণে মিরাজ ও সামসুন্নাহার গত ২১ মে ভোলা সদরে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। এরপর সেদিনই তারা কাজির মাধ্যমে ফের বিয়ে করেন।
মিরাজ বলেন, ‘কে কী বলল সেটা দেখার বিষয় নয়। আমি কোনো পাপ করিনি, বিয়ে করেছি। বর্তমানে আমাদের সংসার সুখের।’
সামসুন্নাহার বেগম বলেন, ‘মিরাজ ও আমি দুজনেই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোলায় গিয়ে বিয়ে করেছি। তবে মিরাজের বাবা-মা আমাদের বিয়ে নিয়ে একটু অসন্তুষ্ট। কিন্তু ঝামেলা নেই। বিয়ের পর মিরাজ আমার বাড়িতেই আছে। আমাদের সংসার ভালোই চলছে। এ ছাড়া, মিরাজ মাছ ধরে। এতেই চলে যাবে।’
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ‘জোর করে কেউ কাউকে বিয়ে করেনি বলে আমরা জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply