অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শিশুদের হত্যা করেই চলেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। সম্প্রতি আড়াই বছর বয়সের এক শিশুকেও হত্যা করেছে শিশু-ঘাতক সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী সেনারা।
মুহাম্মাদ হেইসাম আততামিমি নামের এই শিশু ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে আহত হওয়ার কয়েক দিন পর শাহাদাত বরণ করে। হানাদার সেনাদের গুলি তার মাথায় লেগেছিল।
কেবল চলতি বছরই এ নিয়ে অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি শিশু ইসরাইলি পাশবিক হামলায় শহীদ হলো। ২০০০ সাল থেকে ২০২২ সাল নাগাদ ইসরাইলি হামলায় দুই হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি শিশু শহীদ হয়েছে। কেবল ২০২২ সালে ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক নৃশংসতায় শহীদ হয়েছে অন্তত: ২২০ ফিলিস্তিনি এবং এই শহীদদের ৪৮ জনই শিশু। গত প্রায় ৭৫ বছর ধরে দখলদার ও বর্ণবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে এবং হতাহতের এক বড় অংশই হল ফিলিস্তিনি শিশু ও নারী। ইসরাইলের সন্ত্রাসী সেনা ও অবৈধ ইহুদিবাদী অভিবাসীরা প্রায়ই এইসব হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। ইসরাইলি সেনারা কিছুকাল আগে ১২ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি রোজাদার শিশুকে শহীদ করেছিল।
ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে শহীদ আড়াই বছরের ফিলিস্তিনি শিশু মুহাম্মাদ হেইসাম আততামিমি
ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ যেন এখন এক নিয়মিত ও সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধগুলো সম্পর্কে তেমন কোনো সোচ্চার প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না আন্তর্জাতিক সমাজ ও বিশেষ করে পশ্চিমা সরকারগুলো।
এইসব সরকার মানবাধিকারের ধ্বজাধারী বলে দাবি করলেও ইসরাইলের এইসব পাশবিকতার বিষয়ে নিরব রয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের জন্য গণহত্যা থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনিদের ঘর-বাড়ি ও জমি-জমা ধ্বংস করা বা সেসব দখল করাসহ সব অপরাধই যেন বৈধ এবং ইসরাইলের আত্মরক্ষার বিষয় মাত্র! এমনকি শিশু হত্যাও যেন এর ব্যতিক্রম নয়!
জাতিসংঘের ভূমিকাও এক্ষেত্রে ঠুঁটো জগন্নাথের মত! অথচ ইউক্রেনে শিশুদের রক্ষা ও তাদের মানবাধিকার নিয়ে পশ্চিমাদের হৈচৈ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ ছিল লক্ষণীয়। পশ্চিমা সরকারগুলোর এই দ্বিমুখী আচরণ বা ভণ্ডামির নিন্দা জানিয়ে আসছে ইসলামী ইরান। ইসলামী ইরানের মতে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের সব অপরাধেরই শরীক হলো তার পশ্চিমা সহযোগী সরকারগুলো। আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে এই দায় তারা এড়াতে পারে না বলে ঘোষণা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানআনি।
Leave a Reply