অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে আজ সন্ধায় গুজরাটের উপকূলবর্তী আছড়ে পড়তে পারে ‘বিপর্যয়’। এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে পাকিস্তানেও।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ভারতের গুজরাটের কুচ, সৌরাষ্ট্র বিভাগে এবং পাকিস্তানের করাচিতে এটি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, নয়াদিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে। আগামী চার দিন এই এলাকাগুলোতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গুজরাট এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী উপকূলবর্তী অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। গুজরাটের কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্রে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গুজরাট এবং পাকিস্তানের পাশাপাশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেরলা, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, দমন ও দিউ, লক্ষদ্বীপ এবং দাদর ও নগরহাভেলিতে। ‘বিপর্যয়ের’ কারণে কচ্ছ, পোরবন্দর, দ্বারকা, গির সোমনাথের মতো এলাকায় দু’দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যেই গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অপরদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সিন্ধ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে ৬৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে গত কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শেরি রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এটি তাদের কেটি বন্দরে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পাকিস্তানে ৬৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পাকিস্তানে সব ধরনের ছোট বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আজ থেকে বেসামরিক বিমান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হবে। সূত্র: এনডিটিভি।
Leave a Reply