স্টাফ রিপোর্টার : অসহায় বিধবা রিজিয়া বেগমের ভাতার কার্ডটি ইসু হয় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে। কার্ড ইসু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ১০ বার ভাতার টাকা এসেছে ইউপি সদস্য (মেম্বার) শাহাজান আলীর মোবাইল নম্বরে। একজন ইউপি সদস্য যদি অসহায় বিধবা নারীর ১৫০০ টাকার লোভ সামলাতে না পারে তাহলে ইউপি সদস্য হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মকরধ্বজপুরের গ্রাম বাসীরা। শাহাজান আলী বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার)।
তবে মকরধ্বজপুর গ্রামের কয়েক জন নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুকরা জানান, বিধবার টাকা আসে মেম্বারের নম্বরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে মেম্বার রাতেই ঐ অসহায় বিধবা নারীর সাথে মিমাংসা করে নিয়েছেন।
রিজিয়া বেগমের পরিবারের সদস্যরা জানান, তার নামে ভাতার কার্ড হয়েছে আমরা শুনেছি। কিন্তু ভাতার টাকা কার মোবাইলে আসে সে আমাদের জানানেই।
ইউপি সদস্য শাহাজান আলী জানান, রিজিয়া বেগমের কোন ফোন না থাকায় আমার মোবাইল নম্বর তার ভাতার কার্ডে দেওয়া হয়। সে কারনেই তার ভাতার টাকা আমার মোবাইল নম্বরে আসে। আমি তার টাকা মেরে খাইনি।
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু জানান, ভাতার টাকা আসার কথা ভাতা ভোগীর মোবাইল নম্বরে। কোন ইউপি সদস্যের নম্বরে আসার কথা না। তার পরও বিষয়টি আমি খোজ খবর নিয়ে দেখছি।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যের মোবাইল নম্বরে অন্যের ভাতার টাকা আসার কোন সুযোগ নেই। এটা সম্পুন্ন আইনগত ভাবে অপরাধ। যার কারনেই আমি ইউপি সদস্য শাহাজান আলীকে বিধবার ভাতার টাকা আত্মসাতের কারন ব্যাখা চেয়ে চিঠি দিয়েছি।
Leave a Reply