অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও সংশোধন করে সরকার সদিচ্ছার প্রমাণ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হয়নি বরং দায়িত্ব আরও বেড়েছে।
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধীদের আপত্তির মুখে গেল ৪ জুলাই সংসদে পাস হয় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও সংশোধন বিল। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন।
আরপিও সংশোধনী বিল বিষয়ে স্পষ্ট করতে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, সরকারের সুবিধা নয়, কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে আরপিও সংশোধন করা হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগে পুরো আসন নয়, নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ভোট বন্ধের বিধান রেখে আরপিও সংশোধন যৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটাকে নিয়ে অপব্যাখ্যা করাটা দুঃখজনক। আমরা পুরো জাতি একটা সুন্দর নির্বাচন চাই। নির্বাচন নিয়ে অহেতুক, বিভ্রান্তকর মন্তব্য করে ইসিকে হেয় করা বাঞ্ছনীয় নয়। কমিশনকে গঠনমূলক সাজেশন দিয়ে সহায়তা করলে আমরা উপকৃত হবো।
সিইসি বলেন, সংশোধিত আরপিওর মাধ্যমে কমিশনের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। এখন নির্বাচনে অনিয়ম করে কেউ জয়ী হওয়ার পর ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হলেও তা বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে কমিশন। বাড়ানো হয়েছে প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতাও।
নির্বাচনের আগে ভোটের পরিবেশ না থাকলে সংশোধিত আরপিও দিয়ে কমিশন ভোট বন্ধ করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, সেক্ষেত্রে কমিশন তাৎক্ষণিক বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
আইনে মনোনয়ন দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণ এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের বাধ্যতা রাখা হয়েছে।
Leave a Reply