অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনাকালীন করোনার টিকা প্রদানের কর্মীদের প্রণোদনার লক্ষাধিক টাকা সাত পাঁচ বুঝিয়ে পকেটে তোলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানমের বিরুদ্ধে। তিনি ওই টাকা সিভিল সার্জন অফিসের অডিট ও ভ্যাট আইটি বাবদ সকল কর্মচারীদের কাছ থেকে কেটে রেখেছেন মর্মে স্বীকার করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনেসন ক্যাম্প প্রাথমিক স্কুল শাখায় ৫ থেকে ১১ বছরের বয়সী শিশুদের করোনা টিকার প্রদান করা হয়। করোনা টিকার ২য় ডোজ প্রদান কার্যক্রমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অংশ গ্রহণকারী ৬২ জন কর্মচারীদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ব্র্যাক আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে নগদ ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২শত টাকা প্রদান করেন বেশ কিছুদিন আগে।
এর আগে ৬২ জন কর্মচারীদের বিল তৈরি করে সেখানে রাজস্ব টিকিট লাগিয়ে ব্র্যাক বরাবরে প্রেরণ করা হয়। চলতি বছরের গত ২৫ জুন ব্র্যাকের দায়িত্ব প্রাপ্ত এরিয়া অফিসার কণিকা রানীর মাধ্যমে ওই অর্থ গ্রহণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম।
এরপর তিনি নিজের মনগড়া হিসাব করে ওই ৬২ জন কর্মচারীদের বরাদ্ধকৃত টাকার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১শ ৪২ জন কর্মচারীদের মাঝে ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা বন্টন করে দেন। অবশিষ্ট ৯১ হাজার টাকা তার কাছে রাখেন।
এ ক্ষেত্রে তার অধীনস্থ কর্মচারীরা ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও ভিতরে ভিতরে হয়েছেন ক্ষুদ্ধ। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এই অর্থ নিজের পকেটস্থ করার জন্য নানা তালবাহানা করছেন। যা অডিট ও ভ্যাট আইটির নামে চালিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছেন।
ব্র্যাক ভাঙ্গুড়া শাখার হিসাব রক্ষণ অফিসার আবুল হোসেন জানান, ব্র্যাক কর্তৃক কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনেসন প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের প্রনোদনার নগদ ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২ শত টাকা ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার বরাবর প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিষয়ে ব্র্যাকের ভাঙ্গুড়া অফিসের এ এম (এইচএনপিপি) কণিকা রানী দাস কোভিড-১৯ এর ভ্যাসিনেসন কার্যক্রমে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ২য় ডোজ প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের প্রণোদনার টাকার বিষয়ে বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মান্নান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে, ব্র্যাক হতে প্রাপ্ত প্রণোদনার ৯১ হাজার টাকা তার হাতে নগদ রাখা আছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. হালিমা খানম ৯১ হাজার টাকা রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রণোদনার ৯১ হাজার টাকা সিভিল সার্জন অফিসের অডিট ও ভ্যাট আইটি বাবদ স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল মান্নানের কাছে রাখা আছে।
পাবনা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি আমি অবগত নই। সিভিল সার্জন কার্যালয় কোনো অডিট করে না।
Leave a Reply