অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কুরআন অবমাননার ব্যাপারে অবশেষে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল। বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠার পর বোরেল এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি কুরআন অবমাননাকে ‘অসম্মানজনক’ আখ্যায়িত করে সকল ধর্মের অনুসারীদেরকে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত এক মাসে সুইডেনে দুই বার এবং ডেনমার্কে তিনবার পবিত্র কুরআনের অবমাননা করে কিছু উগ্র ইসলামবিদ্বেষী লোক। দু’টি দেশেই অবমাননাকারীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও পুলিশি নিরাপত্তা লাভ করে। এসব দেশের সরকার কথিত বাক স্বাধীনতার অজুহাতে এই জঘন্য অপকর্ম করার অনুমতি দেয়।
এর বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব ফুঁসে ওঠার পর গতকাল (বুধবার) জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেন, “ইইউ ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং অসহিষ্ণুতার যে কোনো ধরনের প্ররোচনাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি মূলনীতি। এতে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”
ইইউর শীর্ষ কর্মকর্তার বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “কুরআন বা পবিত্র বলে বিবেচিত অন্য কোনো গ্রন্থের অপবিত্রতা আপত্তিকর, অসম্মানজনক এবং স্পষ্ট উস্কানিমূলক। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বর্ণবাদ, বিদেশি-আতঙ্ক এবং এ ধরনের অসহিষ্ণুতা প্রকাশের কোন স্থান নেই।”
বোরেল বলেন, “আমরা দেশে এবং বিদেশে ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত রাখব; কিন্তু আইনে যে অধিকার দেয়া হয়েছে তার সবকিছু নৈতিক নয়।”
বোরেল পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ম অবমাননার মতো কাজগুলি শুধুমাত্র তাদেরই উপকার করে যারা ‘আমাদের সমাজকে বিভক্ত’ করতে চায়।
Leave a Reply