মোঃ জাফিরুল ইসলাম : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে টিকাদান কর্মীকে কুপিয়ে কুপিয়ে গুরুতর মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত টিকাদান কর্মী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত: বাবর মালিতার ছেলে।
এ ঘটনায় একই গ্রামের মইনুল সুলতান ওরফে বিদেশী সোহেলসহ ৫/৬ জনকে আসামী করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করেছেন আহত্তর স্ত্রী পারুলা খাতুন।
এজহারের সুত্র ও এলাকাবাসীর তথ্যসুত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৭ঘটিকায় আহত আজিজ মালিতা নিজ বাড়ি হইতে কর্মস্থল হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওযার পথে রামচন্দ্রপুর আতিয়ার মাস্টারের বাড়ির সামনে পৌছালে আসামি সোহেলসহ আরো ৫/৬ জন তার গতিপথ আটকিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তাঁর চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এলে সবাইকে সাক্ষী না দেওয়ার ভুমকি দামকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে বলে জানিয়েছেন, প্রতিবেশী মানুয়ার মালিতা সহ অনেকে।
এসময় স্থানীয়রা আমার স্বামীর জীবন বাচাতে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে,সেখানেও তাঁর অবস্থায় অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাতপাতাল ফরিদপুর রেফার করেন।
এব্যাপারে আজিজের ছোট ভাই, আব্দুর রাজ্জাক জানান,আসামী সোহেল বিদেশ থেকে এসেই এলোমেলো ঘোরাঘুরি করতেন। বিদেশ যাওয়ার জন্য তার ভিসার ডেট হওয়ায় আমার ভাইকে হত্যা করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, সোহেল ও আজিজ দের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝামেলা চলে আসছে। এবং সোহেলের স্ত্রী ও ভায়ের সাথেও ঝামেলা আছে সে অনেকদিন পর বাড়ি আসছে এবার গিয়ে আর দেশে আসবে না বলে,আজিজ কে মারতে পারে।
এব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ আবু আজিফ জানিয়েছেন, তৎকালীন পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ঘটনার পর হতে সোহেল ও তার পরিবার এলাকায় না থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply