অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নিজের মোবাইল নম্বর ও ছবি দিয়ে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে মানুষ মারার জন্য অর্ডার নেওয়া হতো। তাতে লেখা থাকতো, মানুষ ‘হাফ ও ফুল মার্ডার’ করা হয়। এমনই অভিনব কায়দায় মানুষ মারার প্রচার চলছিল পশ্চিমবঙ্গে। আর সেই ভিজিটিং কার্ড ঘুরছিল মানুষের হাতে হাতে।
বেশ কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্তর্গত ক্যানিং থানা এলাকায় যারা জমি বা বাড়ি নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন, যাদের শত্রু সংখ্যা বেশি কিন্তু নিজেরা কোনো গোলমালে জড়াতে চান না- এমন লোকজন বেছে নিয়ে তাদের হাতে নিজের বিজ্ঞাপনটি ধরিয়ে দিতে শুরু করেছিলেন মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেট।
সেই ভিজিটিং কার্ড পুলিশের হাতে এসে পৌঁছালে তা দেখে কিছুটা হতচকিত হয়ে যান ক্যানিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পরে অবশ্য এর পেছনের মানুষটিকে গ্ৰেফতার করেছেন তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে মানুষ মারার জন্য অর্ডার নেওয়ার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন ধর্মতলা গ্রামের মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেট। তার বয়স মাত্র ১৮ বছর।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে থানা পুলিশ মোরসেলিমের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজসহ বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ড।
সঙ্গে সঙ্গে মোরসেলিম মোল্লাকে গ্ৰেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অভিযুক্তের দাবি, ইচ্ছা হয়েছে তাই কার্ড ছাপিয়েছি কাজের প্রচারের জন্য।
এ বিষয়ে ক্যানিং থানার এসডিপিও দিবাকর দাশ জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনা আগে ঘটেছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কে এই ভিজিটিং কার্ড ছাপালো তার খোঁজ চলছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে মোরসেলিম মোল্লা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গত বছরের আগস্ট মাসে বেআইনি অস্ত্র রাখার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন মোরসেলিম মোল্লা। কিন্তু নাবালক হওয়ায় জামিন পেয়ে যান।
অবশ্য ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোরসেলিমের মা মুর্শিদা। তার ভাষ্য, আমার ছেলে নির্দোষ। বাড়িতে ছোট্ট একটি দোকান চালায়। সে এ ধরনের কাজে জড়িত নয়।
গত মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক মোরসেলিমকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Leave a Reply