অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের আল-খলিল শহরের একটি বাড়িতে পাঁচ নারীকে তল্লাশির নামে বিবস্ত্র করে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনারা যে জঘন্য অপরাধ করেছে তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত ১০ জুলাই সকালে আল-খলিল শহরের একটি বাড়িতে দুইজন ইসরাইলি নারী সেনা ফিলিস্তিনি নারীদের বিবস্ত্র করে তল্লাশির মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। ওই দুই সেনা ৫৩ বছর বয়সী একজন মা, তার ১৭ বছর বয়সী মেয়ে এবং তিন ছেলের স্ত্রীকে একটি আলাদা কক্ষে নিয়ে বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালায়।
ইসরাইলের ওই দুই নারী সেনার কাছে রাইফেল এবং কুকুর ছিল। ফিলিস্তিনি পাঁচ নারী বিবস্ত্র হতে রাজি না হলে ইহুদিবাদী সেনারা তাদেরকে গুলি করার এবং তাদের ওপর কুকুর লেলিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। এর আগে কাপড়চোপড় পরা অবস্থায় ইসরাইলের পুরুষ সেনারা ফিলিস্তিন নারীদের দেহ তল্লাশি করে।এই জঘন্য ঘটনা সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের অন্যতম মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, “যেকোনো ধরনের সম্মিলিত শাস্তির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।“ তিনি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রকাশিত এই ঘটনার আদ্যপান্ত তদন্ত হওয়া দরকার।
ফিলিস্তিনি জনগণের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকা অ্যালবানিস বলেছেন, এটি সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য একটি বিষয়। এই উন্মাদনা এবং লঙ্ঘনের ঘটনার অবসান হওয়া জরুরি।বর্বর এ ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি। সংস্থাটি বলেছে, প্রতিদিন ইসরাইল সেনারা ফিলিস্তিনে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার অবসান ঘটানোর জন্য তেল আবিবের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা উচিত।
Leave a Reply