অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফরিদপুরে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এরমধ্যে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দুটি প্রাইভেট ক্লিনিক আছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্ধ করা চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার হলো- আল-আকসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল-বারাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আরামবাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আর ক্লিনিক দুটি হলো- শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে অবস্থিত আস্থা-আইরিশ মৈত্রী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং আরাম প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় দেখা যায়, আস্থা-আইরিশ মৈত্রী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কোনো অনুমতি নেই। অনুমতি ছাড়াই তারা ওটিতে বিভিন্ন অপারেশনের কাজ করে যাচ্ছিল। আরামবাগ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ডাক্তার নেই। ওটিতে নোংরা পরিবেশ, সেখানে টানানো পর্দাও নোংরা ছিল এবং ওটির রুমে রাখা কাপড়গুলো অনেক বেশি নোংরা ছিল, সেগুলো আমি নিজেই ফেলে দিয়েছি।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, মাতৃছায়ায় ফ্রিজের মধ্যে ভ্যাকসিনসহ অপ্রাসঙ্গিক কিছু মেডিসিন ছিল। যেগুলো রাখার অনুমতি তাদের নেই। এছাড়া ডেঙ্গু পরীক্ষায় তারা অতিরিক্ত ফি নিচ্ছিল। এরপাশেই অবস্থিত আল বারাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগের প্রমাণ মিলে। এছাড়া তারা ‘সি’ ক্যাটাগরির ডায়াগনস্টিক সেন্টার হয়েও ‘বি’ ক্যাটাগরির কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এদের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সংশোধন না হলে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে বন্ধ করা হবে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply