অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে পদ্মা নদীর নড়িয়া-জাজিরা ও মেঘনা নদীর সখিপুর অংশে জেলেদের ইলিশ শিকার করতে দেখা গেছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞায় ৩১১টি অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য বিভাগ। এসময় ১২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪২০ মামলায় ৩১১ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানকালে চার লাখ ৭৬২ টাকা জরিমানা, ৫৯ লাখ ৯৪৩ মিটার জাল জব্দ ও দুই লাখ ৯৫২ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়।
সখিপুর এলাকার জেলে সাইফুল মোল্লা বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদীতে মাছ শিকারে নামি না। তবে এ মৌসুমে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দূর থেকে জেলে ভাড়া করে মাছ ধরে। তারা রাতের আঁধারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাছ ধরে থাকে। তাদের জন্যই ইলিশ হুমকির মুখে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় মাছ ধরতে নেমেছি। তবে নদীতে তেমন মাছ নেই।
নড়িয়া সুরেশ্বর এলাকার আরেক জেলে মোখলেস ফকির বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে অনেক মাছ আসে। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভাড়াটে জেলেরা মাছ ধরে ফেলে। এ ব্যাপারে প্রশাসন যদি আরেকটু কঠোর হতো তাহলে সারাবছর নদীতে নামলে কিছু মাছ পাওয়া যেতো।
এ বিষয়ে শরীতপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে পারছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের মৎস্য অফিস ও প্রশাসনের সহযোগিতায় নিয়মিত অভিযান পরিচালন হয়। ফলে মা ইলিশ নদীতে আসতে পারছে ও মৎস্য সংরক্ষণ অভিযান সফল হয়েছে।
Leave a Reply