অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মাদারীপুরে মাদরাসাছাত্রকে মারধর করে আছাড় দিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে আহত ফায়েজ হাওলাদারের মা শ্যামলী আক্তার মামলাটি করেন। ফায়েজ হাওলাদার মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের সবুজ হাওলাদারের ছেলে।
আসামিরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যারেট কেয়ার মাদরাসার নুরানি শিক্ষক মাহাদী হাসান ও মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইমরুল কায়েম। অভিযুক্ত শিক্ষক মাহাদী হাসানের বাড়ি পিরোজপুরে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে ফায়েজ হাওলাদারকে ঘুম থেকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নেন শিক্ষক মাহাদী হাসান। এ সময় ফায়েজকে শ্রেণিকক্ষে উঠে দাঁড়াতে বলেন তিনি। শিক্ষকের কথামতো না দাঁড়িয়ে সে ঘুমিয়ে পড়েন। এতে শিক্ষক মাহাদী হাসান রাগন্বিত হয়ে ফায়েজকে বেত্রাঘাত করেন। একপর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীকে তুলে আছাড় দেন। পরে তিনি বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
পরদিন ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে ধরা পড়ে শিশুটির মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে থানায় দুজনের নামে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply