অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতালটি শেষ পর্যন্ত জ্বালানীর অভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা গতকাল (শনিবার) বলেছেন, জ্বালানীর অভাবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় আল-শিফা হাসপাতালের সব রকম কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেখানকার ইনকিউবেটরে থাকা ৪৫ শিশুর মধ্যে ৩৯ শিশু এখন মৃত্যুর ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে শনিবার পর্যন্ত আল-শিফা হাসপাতালে অন্তত ৭০০ রোগীর চিকিৎসা চলছিল যাদের বেশিরভাগই ইসরাইলি পাশবিক হামলায় আহত রোগী। এছাড়া, ইহুদিবাদী সেনাদের পাশবিক হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি।
এরই মধ্যে গতকাল (শুক্রবার) আল-শিফা হাসপাতালে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে মানবতার শত্রু ইসরাইল। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, আল-শিফা হাসপাতালে শনিবারের হামলায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটি কঠোরভাবে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সবাইকে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সে হামলা
জ্বালানি সংকটের কারণে হাসপাতালটিতে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেছেন, আমরা নিশ্চিত মৃত্যু থেকে মাত্র কয়েক মিনিট দূরে আছি। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ভবনগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। কোনো ব্যক্তি হাসপাতাল চত্বরে বের হলেই ইসরাইলি সেনারা তাকে গুলি করছে।
দখলদার সেনারা দাবি করছে, আল-শিফা হাসপাতাল ও এর ঠিক তলদেশে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সদরদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছে হামাস। এই অজুহাতে হাসপাতালটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ইসরাইল। তবে হামাস পত্রপাঠ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। গাজা থেকে একজন সংবাদদাতা জানিয়েছে, মার্কিন দাতা সংস্থা ইউএস এআইডি’র তত্ত্বাবধানে আল-শিফা হাসপাতালটি নির্মিত হয়েছে। কাজেই এটির সঙ্গে ভূগর্ভস্থ টানেল নেটওয়ার্কের সম্পর্ক থাকা সম্ভব নয়।#
Leave a Reply