হামাস কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত রুশ–ইসরায়েলি জিম্মি রনি ক্রিভোইকে রেড ক্রসের গাড়ি দিয়ে রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় তৃতীয় দফায় ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দেয়ার সময়কার একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে হামাস।
হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি ধ্বংসযজ্ঞ থেকে এখনও অক্ষত থাকা একটি সড়ক ধরে হামাসের মাইক্রোবাসে করে ইসরাইলি বন্দিদের একটি স্কয়ারে আনা হয়। এ সময় সড়কের দু’পাশে শত শত ফিলিস্তিনি জনতা উপস্থিত ছিল।
গাজার উত্তরাঞ্চলীয় এই শুজাইয়া এলাকাটি এখনও দখল করতে পারেনি ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা। দখলদার সেনারা যেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেসব এলাকার রাস্তাঘাট ও দু’পাশের ঘরবাড়ি তছনছ করে দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় হামাস যে ১৭ ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে ১৩ জন ইসরাইলি নারী ও শিশু, একজন রুশ-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক এবং তিনজন থাইল্যান্ডের অধিবাসী।
ভিডিও ক্লিপে হামাস যোদ্ধাদেরকে পরোক্ষভাবে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। তাদের একটি সশস্ত্র চৌকস দল স্কয়ারের দুই পাশে সামরিক বাহিনীর আদলে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং আরেকদল সেনা নিজেদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ইসরাইলি বন্দিদেরকে রেডক্রস কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।
ইসরাইলি দৈনিক টাইমস অব ইসরাইল লিখেছে, হামাসের ভিডিওটিতে প্রমাণিত হয়, উত্তর গাজার যেসব এলাকায় এখনও দখলদার সেনারা যেতে পারেনি সেসব এলাকায় এখনও নিজের শক্তিশালী উপস্থিতি ধরে রেখেছে হামাস। দৈনিকটি আরো বলেছে, এ ঘটনায় মনে হয়, কিছু ‘পণবন্দি’কে হামাস উত্তর গাজায় আটকে রেখেছে।
রোববার সন্ধ্যায় যে ১৩ ইসরাইলি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেয়া হয় তাদের একজন অসুস্থ থাকায় তাকে হেলিকপ্টারে করে ইসরাইলের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। বাকি ১২ জনকে গাড়িতে করে গাজা থেকে সরাসরি ইসরাইলের হাজতেরিম ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে ৩ থাই বন্দি ও রুশ-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিককে দক্ষিণ গাজার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে মিশরে নেয়া হয়।
হামাসের আগের দু’টি ভিডিও ক্লিপের মতো তৃতীয় ক্লিপেও হামাস যোদ্ধাদেরকে ইসরাইলের মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়। ভিডিওটিতে যথারীতে কোনো শব্দ ছিল না।
Leave a Reply