বশির আল–মামুন, চট্টগ্রাম : আইআইইউসি থেকে নদভীর বছরে আয় ১ কোটি ৩৭ লাখ
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসনটি থেকে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নও পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, আইআইইউসি থেকে নদভী বছরে মিটিং ও সম্মানীসহ ভাতা পান ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৪২ টাকা। এর বাইরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীসহ নদভীর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানটি থেকে বছরে ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৪৪৬ টাকা পান।
হলফনামায় নদভী নিজেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জাতীয় সংসদ থেকে বছরে ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৭ টাকা পান।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নদভীর বর্তমানে নগদ টাকা রয়েছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪১ টাকা এবং তার স্ত্রীর রয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার ২৪৬ টাকা। নদভীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৪ টাকা এবং তার স্ত্রীর রয়েছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৫ টাকা। নদভীর ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২২০ টাকা এবং ডিপিএস রয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৪ টাকা। নদভীর স্ত্রী রিজিয়ার নামে ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৬ টাকা এবং ডিপিএস রয়েছে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮ টাকা।
নদভীর বর্তমানে গাড়ি রয়েছে ৩টি, যেগুলোর বাজারমূল্য ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ১৬৬ টাকা। নদভীর নিজের রয়েছে ৯০ ভরি স্বর্ণ এবং তার স্ত্রীর রয়েছে ৫০ ভরি। নদভীর ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ৪ লাখ টাকার, আসবাবপত্র রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার এবং অন্যান্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
জানা গেছে, সাতকানিয়া (আংশিক)-লোহাগাড়া উপজেলা নিয়ে আসনটিতে গঠিত। এই আসনে একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল জামায়াতের। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটিতে সর্বশেষ জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিল। গত দুই বার এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী। দুইবারই তিনি এমপি নির্বাচিত হন। প্রথমবার জামায়াত কিংবা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কোনো প্রার্থী ছিল না। দ্বিতীয় বার ধানের শীষ নিয়ে জামায়াতের শামসুল ইসলাম নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী না থাকায় সহজেই নির্বাচনী বৈতরণী পার করেন নদভী।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।
Leave a Reply