অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন পুরোপরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হামাস তেল আবিবের সঙ্গে বন্দি বিনিময় নিয়ে কোনো আলোচনা করবে না। গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর হাতে আটক ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে বলে যখন খবর প্রাকশিত হয়েছে তখন এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করল হামাস।
হামাসের পলিটব্যুরো সদস্য খলিল আল-হাইয়্যা গতকাল (রোববার) কাতারের আল-জাজিরা নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “প্রতিরোধ আন্দোলন শত্রুর আগ্রাসন প্রত্যাখ্যান করে, কাজেই বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত যেকোনো আলোচনার আগে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “যুদ্ধ বন্ধের আগ পর্যন্ত বন্দি বিনিময় নিয়ে কোনো কথা হবে না।” খলিল আল-হাইয়্যা আরো স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা চাই আগে আগ্রাসন বন্ধ হোক। এরপর আমরা গাজা উপত্যকার নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করব; এবং তারপর আমরা বন্দিদের নিয়ে কথা বলতে বসব।”
হামাসকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা ‘অলীক কল্পনা’
আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খলিল আল-হাইয়্যা আরো বলেন, হামাসসহ গাজার প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ইসরাইলি আগ্রাসন প্রতিহত করার এবং আগ্রাসী বাহিনীর আরো বেশি ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে।
তিনি বলেন, গাজা সিটি হোক, খান ইউনিস হোক, উত্তর গাজা হোক বা অন্য যেখানেই হোক, উপত্যকার কোনো স্থানে আমরা দখলদার সেনাদের এক মুহূর্তে স্বস্তিতে থাকতে দেব না। কাজেই হামাসকে ধ্বংস করার যে কথা শত্রুদের মুখে শোনা যায় তা অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে এ পর্যন্ত ১২২ ইসরাইলি সেনার নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব। হামাস অবশ্য এই সংখ্যাকে কয়েক গুণ বলে উল্লেখ করেছে। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছিলেন, তারা শুধুমাত্র বিগত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬ ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছেন।
Leave a Reply