অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি বর্ধিত পরিবারের ৭৬ সদস্য নিহত হয়েছে বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা শনিবার জানিয়েছেন। জাতিসংঘের প্রধান ফের সতর্ক করার পরদিন এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। খবর এপির।
জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছিলেন, গাজার কোথাও নিরাপদ নয়। ইসরায়েলের চলমান আক্রমণ মানবিক সহায়তা বিতরণে ‘বিশাল বাধা’ তৈরি করছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এপিকে বলেছেন, গাজা শহরের একটি ভবনে শুক্রবারের হামলাটি ছিল ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সবচেয়ে মারাত্মক। যুদ্ধের এখন ১২তম সপ্তাহ চলছে।
তিনি নিহতদের নামের একটি আংশিক তালিকা দিয়েছেন। এর মধ্যে আল-মুগরাবি পরিবারের ১৬ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একজন প্রবীণ কর্মচারী ইসাম আল-মুগরাবি, তার স্ত্রী ও তাদের পাঁচ সন্তান রয়েছে।
হামাসকে ধ্বংস করার নামে এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত করেছে ৫৩ হাজারের বেশি।
এদিকে বেসামরিকদের অতিরিক্ত মৃত্যুর জন্য হামাসকে দায়ী করছে ইসরায়েল। শুক্রবার, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে গাজার মানবিক সংকটে থাকা লাখ লাখ বাসিন্দাদের জন্য সাহায্য বিতরণ দ্রুত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি কঠোর আহ্বানকে অপসারণের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মানবিক বিরতি ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আনা প্রস্তাবে এর আগে দুইবার ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য তার দীর্ঘ দিনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, শুক্রবারের প্রস্তাবটি যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করবে। তবে গাজার জনগণের জন্য চলমান দুর্ভোগ থামাতে অবিলম্বে আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ইসরায়েলের আকাশ ও স্থলপথে চালানো এই নৃশংস সামরিক অভিযানে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত। এমনকি প্রায় ৬ লাখ মানুষ চরম দুর্ভিক্ষে রয়েছে।
Leave a Reply