22 Nov 2024, 06:07 am

পাঁচ বছরের কম বয়সী চার শিশুর মধ্যে ১ জন ‘মারাত্মক’ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি : ইউনিসেফ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউনিসেফ বলেছে, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি চার শিশুর মধ্যে একজনের বেশী ‘মারাত্মক’ খাদ্য সংকটের মধ্যে বাস করে। ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, এতে বিশ্বে ১৮ কোটিরও বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই শিশুদের বৃদ্ধি এবং বিকাশ বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে।

বুধবার প্রকাশিত ইউনিসেফের একটি নতুন প্রতিবেদনের প্রধান লেখক হ্যারিয়েট টরলেস বলেছেন, ‘গুরুতর শিশু খাদ্য দারিদ্র্য এমন শিশুদের বোঝানো হয় যারা খাদ্য বঞ্চিত, তাই তারা শুধুমাত্র দুই বা তার কম খাদ্য গ্রুপ গ্রহণ করে মারাত্মকভাবে বেঁচে আছে।’ এএফপি একথা জানিয়েছে।
হ্যারিয়েট টরলেস বলেন, ‘এই দিন এবং যুগে এটা মর্মান্তিক, যেখানে আমরা জানি কি করা দরকার।’
ইউনিসেফ সুপারিশ করেছে, ছোট বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন আটটি প্রধান খাবারের মধ্যে পাঁচটি খাবার গ্রহণ করা দরকার।
গ্রুপগুলো হচ্ছে, বুকের দুধ, শস্য, শিকড়, কন্দ এবং কলা; ডাল, বাদাম এবং বীজ জাতীয়, দুগ্ধ; মাংস, মুরগি এবং মাছ; ডিম; ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি এবং অন্যান্য ফল ও সবজি। কিন্তু পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪৪ কোটি শিশুর প্রায় ১০ কোটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্য সংকটের মধ্যে বাস করছে। এর অর্থ হলো প্রতিদিন পাঁচটি খাদ্য গ্রুপে তাদের প্রবেশাধিকার নেই। তাদের মধ্যে ১৮ কোটি ১০ লাখ তীব্র খাদ্য দারিদ্র্যের সম্মুখীন হচ্ছে। যারা সর্বাধিক দু’টি খাদ্য গ্রুপ গ্রহণ করতে পারে।
ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যে শিশুরা প্রতিদিন মাত্র দু’টি খাদ্য গ্রুপ গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ,ভাত এবং কিছু দুধ গ্রহণ করে তাদের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত গুরুতর অপুষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’ এই অপুষ্টির কারণে স্বাস্থ্য ক্ষয় হতে পারে। অস্বাভাবিকভাবে ওজন হারিয়ে জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
টরলেস বলেন, এমনকি যদি এই শিশুরা বেঁচে থাকে এবং বড় হয়, ‘তারা অবশ্যই উন্নতি করে না। তাই তারা স্কুলে কম ভালো করে।’
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘যখন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তখন তারা একটি শালীন আয় উপার্জন করা কঠিন বলে মনে করে এবং তা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে দারিদ্র্যের চক্রকে ঘুরিয়ে দেয়।’ ‘আপনি যদি চিন্তা করেন একটি মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, শরীরের এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের বিকাশের জন্য, রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এসবের বিকাশ ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনের উপর নির্ভর করে।’
গুরুতর শিশু খাদ্য দারিদ্র্য প্রায় ২০ দেশে কেন্দ্রীভূত, বিশেষ করে ভয়াবহ পরিস্থিতি সোমালিয়ায়। যেখানে ৬৩ শতাংশ ছোট শিশু খাদ্য সংকটে প্রভাবিত হয়; গিনি (৫৪ শতাংশ); গিনি-বিসাউ (৫৩ শতাংশ) এবং আফগানিস্তান (৪৯ শতাংশ)। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের প্রতিবেদনে বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করা হয়েছে, গাজা উপত্যকা, যেখানে ইসরায়েলের হামলায় ‘খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পতন নিয়ে এসেছে।’ এতে দেখা গেছে যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন শিশু গুরুতর খাদ্য দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 8588
  • Total Visits: 1266050
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১৯শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সকাল ৬:০৭

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
18192021222324
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018