অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়া সোমবার ইউক্রেনের পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের আরেকটি গ্রামের দখল নেয়ার দাবি করেছে।
সুইজারল্যান্ডে সর্বশেষ একটি বড় শীর্ষ সম্মেলনের আগে ধারাবাহিক এই সাফল্যের দাবি করলো রাশিয়া।
কয়েক ডজন বিশ্ব নেতা ও শীর্ষ কূটনীতিক এই বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
রাশিয়ার আগ্রাসনে বিরুদ্ধে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করার কারণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সপ্তাহান্তে বিশ্ব নেতাদের এই বৈঠকে কিয়েভের প্রতি তাদের সমর্থনের আশা প্রকাশ করেন।
জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, পুতিন এর মাধ্যমে মস্কোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলোসহ আরো অ-পশ্চিমা দেশগুলোর উপর জয়লাভ করতে আগ্রহী।
প্রায় এক বছরের অচলাবস্থার পর, ইউক্রেন এই বসন্তে ডজন ডজন ফ্রন্ট-লাইন বসতি পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। রাশিয়ান সৈন্যরা এসব এলাকায় শক্তি ও সরবরাহ সুবিধা জোরদার করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, তাদের বাহিনী ‘অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে, শত্রুর প্রতিরক্ষার ব্যুহ ভেদ করেছে এবং রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত শহর দোনেটস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত স্টারোমায়োরস্কি বসতি মুক্ত করেছে।
গ্রাম হারানো কীয়েভের জন্য একটি প্রতীকী আঘাত। কারণ ইউক্রেন গত বছর ব্যাপকভাবে দুর্বল পাল্টাপাল্টি আক্রমণে কয়েকটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল, এটি সেগুলোর একটি। দোনেৎস্ক অঞ্চলের দক্ষিণের সম্মুখ ফ্রন্টলাইন স্টারোমায়োরস্কি।
মস্কো ২০২২ সালে যে চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করেছিল দোনেৎস্ক তার একটি এবং সেখানে এখনো কিছু ফ্রন্টে তীব্র যুদ্ধ চলছে।
পুতিন গত সপ্তাহে একটি অর্থনৈতিক ফোরামে বলেছিলেন, রাশিয়া এ বছরে ৪৭ ইউক্রেনীয় শহর ও গ্রাম দখল করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চল,গত মাসে একটি বড় স্থল হামলা চালিয়ে এটি দখল করে নেয়। এতে হাজার হাজার ইউক্রেনীয়কে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং কিয়েভ বাহিনীর অবস্থান জোরদার করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান রবিবার বলেছেন, ওয়াশিংটন আংশিকভাবে মার্কিন সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার অনুমতি দেয়ার পর খারকিভ সীমান্ত অঞ্চলে রাশিয়ার অগ্রগতি ‘থমকে গেছে’।
বাইডেন গত সপ্তাহে নিশ্চিত করেছেন, মধ্য সুইজারল্যান্ডের লুসার্ন হ্রদের পাশে বার্গেনস্টক রিসোর্টে ১৫-১৬ জুনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না। এটি কিয়েভের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
বাইডেনের পরিবর্তে ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক এবং আর্থিক সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
জেলেনস্কি মস্কোর মিত্রদের মধ্যে উচ্চ-স্তরের বিশেষ করে প্রধান মিত্র চীনের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আশা করেছিলেন।
বেইজিং সমাবেশের সমালোচনা করেছে এবং বলেছে, রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই চীনের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা ‘কঠিন’ হবে ।
সোমবার সুইস প্রেসডেন্সি জানিয়েছে, ৯০টি দেশ তাদের যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
Leave a Reply