অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জয়পুরহাটে ডাকাতির পর হত্যার মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার দাদড়া জন্তিগ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ছামসুল হুদা ও মৃত খাজের মৃধার ছেলে মিজান, ভিটি দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বাবু, ভিটি প্রধানপাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে জাহিদুল, ভিটির লুৎফর রহমানের ছেলে মুক্তিয়ার ও চকবম্বু পাতারপাড়ার মৃত কিয়ামত আলীর ছেলে সবুর।
এদের মধ্যে জাহিদুল পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলা থেকে ১৪ জনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট রাতে আসামিরা জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাকারমাথা ভিটি এলাকার মৃত মহিম চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে প্রতুল চন্দ্রের বাড়িতে ডাকাতি করতে যান। ঘরে ঢুকে ডাকাতরা প্রতুলের ছেলে পলাশের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এসময় প্রতুল বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে সে মাথায় আঘাত পায়।
এরপর ডাকাতরা সেই বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরে প্রতুল ও তার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রতুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা উৎপল কুমার বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
Leave a Reply