01 May 2024, 08:46 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলা সংক্রান্ত পরিকল্পনার নথি এক বছরের বেশি সময় আগেই পেয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেছিলেন হামাসের পক্ষে এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন। শুধু কঠিনই নয়, বরং এটিকে উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা মনে করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

সম্প্রতি এমনটাই উঠে এসেছে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে।

হামলা সংক্রান্ত ৪০ পৃষ্ঠার এক নথি পেয়েছিল যার কোড নাম ‘জেরিকা ওয়াল’ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এই হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

নথিটি পর্যালোচনা করে দেখেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। নথিতে হামলার জন্য কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করা ছিল না। তবে গাজা উপত্যকার চারপাশের দুর্গগুলোকে পরিকল্পিত হামলার আতুঁরঘর হিসেবে দেখানো হয়েছে।

নথিতে আরও দেখানো হয়েছে, ইসরায়েলি শহরের দখল নেওয়াসহ হামাস গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও সদর দপ্তরে তাণ্ডব চালাবে।

এছাড়াও দেখানো হয়েছে, হামলার শুরুতে রকেটের ব্যারেজ, সীমান্তে নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান ছিনতাই করার জন্য ড্রোন ও প্যারাগ্লাইডারে, মোটরসাইকেলে এবং পায়ে হেঁটে ইসরায়েলে বন্দুকধারীদের ওপর বিধ্বস্ত করে দেবে হামাস যার সবই ৭ অক্টোবর ঘটেছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে হামাস এক হাজার ২০০ মানুষ হত্যার পাশাপাশি জিম্মি করে ২৪০ জনকে। সেদিন থেকেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা সাত সপ্তাহ ধরে চলে। ইসরায়েলি নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু।

নথিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান ও সংখ্যা সম্পর্কেও নিখুঁত ও বিস্তারিত তথ্য ছিল। হামাসের হাতে কীভাবে এত নিখুঁত তথ্য এসে পৌঁছাল এবং ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর ভেতর তাদের কোনো গুপ্তচর রয়েছে কি না, সেটা নিয়েও এখন আলোচনা শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বা অন্যান্য শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা এই নথি দেখেছেন কি না, তা এখনো জানা যায়নি

হামাসের হামলার পরিকল্পনার নথি ১ বছর আগেই পেয়েছিল ইসরায়েল ; নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন