23 Feb 2025, 09:57 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অব্যাহতভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ও দারিদ্র্য কমছে। পাশাপাশি প্রতিটি মানুষের সমৃদ্ধি ও স্বচ্ছলতা এসেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেকের পছন্দ হয় না। সেজন্য দেখা যায়, কিছু কিছু পত্রিকায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক খবর প্রকাশ করা হয়। বিদেশ থেকে চিহ্নিত ব্যক্তি বিশেষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখা যায়নি।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরে দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসায় সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকদের আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো সমীচীন নয়। প্রয়োজনে কূটনীতিকদের আচরণ সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বাজেটের জন্য ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে কারও দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াই না। আমাদের সাহায্য দেওয়ার জন্য তারা অর্থের ঝুলি নিয়ে আমাদের কাছে আসে। আমাদের খাটো করার সময় চলে গেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে করোনা মহামারি ও বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যেভাবে অব্যাহত আছে, এটি পৃথিবীর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রশংসা করছে। সম্প্রতি ব্লুমবার্গ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও করোনার মধ্যেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কারণে শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের মনে আছে যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল, তখন কিছু বড় পত্রিকা বড় করে শিরোনাম করেছিল ‘পদ্মাসেতু আর হচ্ছে না’। কিন্তু বাংলাদেশে পদ্মাসেতু হয়েছে নিজেদের টাকায়। এগুলোর ব্যাপারে সাংবাদিক বন্ধুদের সতর্ক থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখেন। গণমাধ্যম মানুষকে সঠিক তথ্য পেতে ও সঠিক চিন্তা করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। একইসঙ্গে মানুষকে বিশ্ব পরিস্থিতিও জানাতে সহায়তা করে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে ও তা অব্যাহত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা মনে করি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রের বিকাশ ও গণতন্ত্রের বিকাশ জড়িত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নামে যদি আমরা কেউ অপসাংবাদিকতা করি তাহলে দেশের জনগণ ও সাংবাদিক সমাজ নিশ্চয়ই সেটিকে সমর্থন করেন না। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার নামে রাজনীতি করা সেটি সমীচীন নয়। এ বিষয়ে আপনারা নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে একমত হবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১২টি দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। ভারতে কয়েকদিন ধরে বিবিসির কার্যালয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। সেখানে কী এ ধরনের বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ ও বিবৃতি সেখানে দিয়েছে? দেওয়া হয়নি। কারণ ভারত বড় দেশ ও ভারতের শক্তি-সামর্থ বেশি। সেজন্য সেখানে সেই সাহস দেখাতে পারেনি।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি, তারা জনগণের কাছে যায় না। তারা দ্বারে দ্বারে গিয়ে পদলেহন করে। আমি আশা করেছিলাম তারা দুস্থ মানুষের সঙ্গে ইফতার করবে। সেটি না করে তারা ফাইভ স্টার হোটেলে বসে কূটনীতিকদের সঙ্গে ইফতার করেছে। সেখানে গিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য অনুনয়-বিনয় করেছে।

তিনি বলেন, আসলে দোষটা কূটনীতিকদের চেয়েও আমাদের অনেকের বেশি। কারণ আমরা গিয়ে তাদের হাতে-পায়ে ধরি একটু কিছু বলার জন্য ও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য। এটি আসলে দেশবিরোধী ও দেশের বিরেুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল।

এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, জেলা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 

কিছু পত্রিকায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক খবর ছাপানো হয় : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু এবং গণমাধ্যমকে অপবিত্র, অসম্মান করবেন না, দেশের মানুষ তা রুখে দেবে’ বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতিকর্মীরা।
আজ সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘স্বাধীনতা দিবসে শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে তার নামে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে ‘দৈনিক প্রথম আলোর দেশবিরোধী স্বাধীনতাবিরোধী অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন’ শীর্ষক সমাবেশে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের জননন্দিত কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম বলেন, ‘সাংবাদিকতার সাথে রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করবেন না, মানুষকে অসত্য তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকেও অপবিত্র করবেন না। ভালো হবে না। আমাদের মৌলিক বিষয়ের ওপর আঁচড় দিলে সহ্য করা হবে না।  প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো আবার মুখে বাঁশি নেব, কোটি কোটি দেশপ্রেমিক মানুষ স্বাধীনতার সম্মান রাখতে, গণমাধ্যমকে পবিত্র রাখতে ছুটে আসবে।’
এ সময় উপস্থিত দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেল এবং সংবাদপত্র ও অনলাইন মাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা চক্রান্ত্রকারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না। সাংবাদিকতা পবিত্র পেশা, মিথ্যা নয় ঠিক সংবাদ পরিবেশন করুন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না।’
একুশে পদকে ভূষিত স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের জননন্দিত কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রথম আলো পত্রিকার দায়ীদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সমাজের সবার পক্ষ থেকে এই দেশবিরোধী মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ডা. অরূপ রতন চৌধুরী তার বক্তৃতায় বলেন, ‘জাতিকে হেয় এবং বিভ্রান্তকারী হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সম্মান বজায় রাখতে সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী চক্রান্ত সাংবাদিকরাও মেনে নেবে না, কোনো মানুষই মেনে নেবে না। আইন অনুযায়ীই এ ধরনের অপরাধের বিচার হবে।’
স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় পরিষদ সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্না, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, সৌদি আরব আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আনিসুর রহমান, অভিনয় শিল্পী তানভীন সুইটি, দোলাসহ সংগঠনের সদস্যদের সাথে মুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন পেশাজীবি, শিক্ষক, ছাত্ররা মানববন্ধনে স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার সম্মান বজায় রাখা ও অপসাংবাদিকতার দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে যোগ দেন।

 

 

 

 

 

স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমকে অপবিত্র করার চেষ্টার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতিকর্মীদের মানববন্ধনে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাভারে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় বেসরকারি টেলিভিশন ‘এখন টিভি’র সাভার প্রতিনিধি  মো. হুমায়ুন কবির ও তার ক্যামেরাম্যানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দয়ের করেন ভুক্তভোগী ক্যামেরাম্যান নয়ন ইসলাম (২২)। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীতে সাভার ডেইরি ফার্মের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নয়ন জয়পুরহাট সদরের নতুনহাট গ্রামের মৃত ফয়েজ ইসলামের ছেলে। তিনি সাভারের কলমা এলাকায় ভাড়া থেকে এখন টিভির সাভার প্রতিনিধি হুমায়ুন কবিরের ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করেন। হুমায়ুন কবির সাভারের কলমা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভি ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- সাভার ডেইরি ফার্মের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. আসাদুর রহমান (৪৮) ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ মুন্সি (৪২)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডেইরি ফার্মে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন আসাদুর রহমান ও মাসুদ মুন্সি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করতে সাভার ডেইরি ফার্মে গেলে আসাদুর রহমান ও মাসুদ মুন্সি তাদের লোকজনসহ সাংবাদিক মো. হুমায়ুন কবির ও নয়নকে ঘিরে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করতে এসেছে এমন চিৎকার করে হামলা করে অভিযুক্তরা। এ সময় ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুরের পর ক্যামেরাম্যান নয়নকে বেধড়ক মারধর করে। পরে ডেইরি ফার্মের প্রধান ফটক আটকে তাদের প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে অভিযুক্তরা। এ সময় তারা খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদকর্মী গণকণ্ঠ পত্রিকার সাভার উপজেলা প্রতিনিধি সিফাত মাহমুদ ফাহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ডেইরি ফার্মে যাই। প্রথমে আমাদের সঙ্গে সাভার ডেইরি ফার্মের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতিআসাদুর রহমানের দেখা হয়। তার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হন। এরপরই সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মুন্সি সেখানে আসেন। তিনি আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের একটি সাইরেন বেজে উঠে। এসময় ডেইরি ফার্মের সকল কর্মচারী একত্রিত হলে ক্যামেরাম্যান নয়ন ভিডিও নিতে থাকেন। ভিডিও ফুটেজ নেওয়া দেখে তারা সদলবলে আক্রমণ চালিয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন এবং নয়নকে মারধর করেন

এখন টিভির সাভার প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির বলেন, ওরা আমার ক্যামেরাম্যানের হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। পরে নয়নকে বেধড়ক মারধর করে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ব্যাপারে দুইজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সাভার মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযোগের কপি হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তথ্য সংগ্রহের সময় সাভারে সাংবাদিকের ওপর হামলা 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন রাশিয়ায় বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে দেশ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রাশিয়ায় মার্কিন সাংবাদিক ইভান গেরশকোভিচকে গ্রেফতারের পর তিনি এ আহ্বান জানান। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে ব্লিনকেন বলেন, ‘রাশিয়ায় একজন মার্কিন নাগরিক সাংবাদিককে আটকের খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা। এ অবস্থায় রাশিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ওই দেশ ত্যাগের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’

গ্রেফতারহওয়া ইভান ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মস্কো সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি রুশ বংশোদ্ভূত হলেও আমেরিকান নাগরিক। মার্কিন সাংবাদিককে গ্রেফতারের বিষয়ে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফএসবি) জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী ইভান রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি আমেরিকার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করতেন।

রুশ গোয়েন্দা সংস্থার এই ঘোষণার পর টুইটারে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ব্লিনকেন। বিবৃতিতে ব্লিনকেন জানান, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের কণ্ঠস্বরকে ভয় দেখানো, দমন ও শাস্তি দেওয়ার ক্রেমলিনের অব্যাহত প্রচেষ্টার নিন্দা জানাই।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরেও সাংবাদিক ইভানকে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, মার্কিন প্রশাসন তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এছাড়া এ বিষয়ে রুশ সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে গ্রেফতার হওয়া ইভানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ক্রেমলিন এখনও এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি।

এর আগে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর মার্কিন নাগরিকদের রাশিয়া ভ্রমণে সতর্ক করে নির্দেশিকা জারি করেছিল ওয়াশিংটন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রুশ কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় বিদেশিদের আটক বা গ্রেফতার করতে পারে।

 

সাংবাদিক আটকের পর মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে রাশিয়া ছাড়ার আহ্বান জনালেন ব্লিনকেন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহি হরিণাকুণ্ডু প্রেসক্লাবের পুরাতন কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুরাতন কমিটি বিলুপ্তি করে বার্ষিকী কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিপ্লব হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুদিপ্ত সালামের সঞ্চালনায় বুধবার (২৯ মার্চ) বিকালে চিলি প্যালেস রেস্টুরেন্টের এক সম্মেলন কক্ষে নীতি-নির্ধাকের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নির্ধারিত সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি গঠিত হয়। এতে সভায় সর্বস্মতিক্রমে দৈনিক কালবেলা উপজেলা প্রতিনিধি মো: সুদিপ্ত সালাম-কে সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময় ও আনন্দ টিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধি  মো: জাফিরুল ইসলাম-কে সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি এম.টুকু মাহমুদ-কে অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি কমিটি গঠন করে ১ বছর মেয়াদী নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে,ইমদাদুল হক বিশ্বাস, ( দৈনিক বাংলাদেশের আলো) সহ-সভাপতি হিসেবে, রাব্বুল হোসেন ( সব পাঠকের কাগজ দৈনিক দেশের কন্ঠ) সহ-সহভাপতি: সাইফুর রহমান বাদল, স্টাফ রির্পোটার দৈনিক সময়ের কাগজ,সহ- সভাপতি: মামুনুর রশিদ টিটন ( যায়যায়দিন), সহ-সভাপতি: আবুল কালাম আজাদ,সহ-সভাপতি: ইকতিয়ার উদ্দীন ( দৈনিক শ্যামবাজার),সহ-সভাপতি: মোঃ বিপ্লব হোসেন ( দৈনিক গ্রামের কন্ঠ), আনিচুর রহমান লিটন( দৈনিক জবাবদিহি),

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: সোহরাব আলী ( দৈনিক সময়ের সমীকরণ ),যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: তৈয়বুর রহমান ( সাপ্তাহিক সীমান্তবাণী), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: স্বাধীন আহমেদ ( দৈনিক বাংলাদেশের আলো),যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শরিফ জাহান চাঁদ, সাংগঠনিক সম্পাদক: জাভেদ হাসান আক্তার, দপ্তর সম্পাদক: তুষার হাবিব,প্রচার সম্পাদক: রাজন মিয়া,

অর্থ সম্পাদক: আব্বাস আলী,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বনি আহমেদ,আইসিটি সম্পাদক, মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল,সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, শাহাদত হোসেন, নির্বাহী সদস্য: মোঃ আশিকুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য: আবদুল্লাহ আল মামুন,নির্বাহী সদস্য: মোঃ জামিরুল ইসলাম,নির্বাহী সদস্য: আবুল কালাম আজাদ,নির্বাহী সদস্য: ইমারুল ইসলাম,নির্বাহী সদস্য: মাহবুবুর রশিদ টুলু।

এছাড়াও কমিটিতে সকলের সর্বসম্মতিক্রমে  উপদেষ্টামন্ডলী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া- প্রকাশক, ঝিনাইদহ সংবাদ,আবুল কালাম আজাদ জেলা প্রতিনিধি দৈনিক বাংলার নবকণ্ঠ।

উল্লেখ্য প্রেসক্লাব এর সাংবাদিকদের মান উন্নয়নে নেতৃবৃন্দ নানা দিক ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।

 

হরিণাকুণ্ডু প্রেসক্লাবের বার্ষিক কমিটি গঠন ; সভাপতি সুদীপ্ত সালাম সম্পাদক জাফিরুল ইসলাম 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও ‘সময়োচিত সংস্কার পদক্ষেপ’ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিশ্ববিখ্যাত সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন সরকার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সংবাদ সংস্থাটি এক নিবন্ধে লিখেছে, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পুরো তহবিল পেতে আরও সংস্কার করতে হবে বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সম্ভাব্য জয়ী হওয়ার কারণ এটা নয় যে, যে তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন।

নিবন্ধে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বিজয়ের কারণ ‘কেবলমাত্র তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছে বা আইনী ফাঁদে পড়েছেন-এটা নয় বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার সাফল্যের কারণেই এটা ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সময়োপযোগী সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির পটভূমিতে ব্লুমবার্গ দু’টি উপ-শিরোনামসহ ‘বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অফ ইন পোলস’ শিরোনামের এই নিবন্ধটি প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়, পুরো তহবিল পেতে শেখ হাসিনাকে আরও সংস্কার করতে হবে। নির্বাচনে তিনি টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্যালট বাক্সে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা প্রায়শই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মত নন। তার দ্রুত আইএমএফ ম্যান্ডেটের বাস্তবায়ন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে যেখানে পাকিস্তান এখনও জ্বালানি ভর্তুকি নিয়ে দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন বিলম্বিত করেছে, কারণ, তারা গত সপ্তাহে আইএমএফ তহবিল পেতে কর এবং সুদের হার বাড়িয়েছে।

গত জুলাই মাসে আইএমএফের সহায়তা চাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ ছিল বাংলাদেশ। দেশটি দ্রুত জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির পর প্রথম ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিতে কোন কুন্ঠা বোধ করেননি।

 

চতুর্থ মেয়াদেও জয়ী হবেন শেখ হাসিনা : ব্লুমবার্গ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাসন্তীকে জাল পরিয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মতো একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে তার নাম ব্যবহার করে, অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয় প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি আজ  ৩০ মার্চ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ও ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ প্রশ্ন রাখেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা এ সময় ‘২০১৩ সালে রানা প্নাজা ধসে হাজার হাজার মানুষ যে দিন নিহত হয়, সে দিন সন্ধ্যায় প্রথম আলো-মেরিল পুরস্কারে নাচ-গান করা, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে প্রথম আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছাত্রকে নিকটবর্তী উন্নত হাসপাতালে ভর্তি না করে, দূরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা ও তার মৃত্যু ঘটা এবং এখন স্বাধীনতা দিবসে শিশুর নাম দিয়ে মিথ্যা লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা -এ সবের কি বিচার’ এ প্রশ্ন করে। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন- স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে এভাবে কটাক্ষ করে যে সংবাদ প্রচার করা এবং একটা শিশুকে ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে যেটি বলানোর চেষ্টা করা, সে না বললেও সেটিকে ছাপানো -এটি কি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি নয় ? সে জন্যই এটার প্রচন্ড সমালোচনা হয়েছে, এটি ঠিক নয় বিধায় আপলোড হওয়ার পরে সেটি তারা সরিয়েও ফেলেছিলো। কিন্তু সেটির ‘স্ক্রিনশট’ তো বিভিন্ন জায়গায় ছিলো, অনেকে শেয়ার করেছে, সেগুলো রয়েও গেছে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে, ঘুরছে। এতদপ্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলা করেছে, মামলার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তেসব বেরিয়ে আসবে এবং আইনের গতিতে আইন চলবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন জালের দাম কিন্তু কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি ছিলো, এখনো জালের অনেক দাম। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে প্রকাশ করা হয়েছিল। অনেকে বলছে, ২৬ মার্চে প্রথম আলোর এ ঘটনাটি বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরণের অসত্য  পরিবেশন সর্বমহলের মতে একটি অপরাধ, ডিজিটাল অপরাধ।’ অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক যদি অপরাধ করে, তার কি শাস্তি হবে না ? কেউ যদি অপসাংবাদিকতা করে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে এবং একটি ছেলের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার নামে অসত্য লেখে, চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন করে, সেটার কি বিচার হবে না ? আমরা কি কেউ বিচারের উর্ধ্বে, আইনের উর্ধ্বে ? তা তো নয়।’
এ বিষয়ে বিএনপি’র বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো কিছু পেলেই বিএনপি’র বিবৃতি দেওয়ার অপচেষ্টা ছাড়া সেটি অন্য কিছু নয়। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নাই। আপনারা যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে সমগ্র দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, সাংবাদিকদেরও ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছে। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক বিদেশ থেকে চরিত্র হননের দায়ে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’
বিশ্বের দেশে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ এন্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ এন্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরণের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদন্ড  এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয়, তবে সেই ডিজিটাল অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদন্ড। আমাদের দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অনেক দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় অবশ্যই মিথ্যা বলে রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হয়েছে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ যেটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, সেখানে একটা ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে এবং সে যেটি বলেনি সেটা প্রচার করা হয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলেই তারা সরিয়েছে। সুতরাং অবশ্যই এখানে রাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।’
এর আগে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে বঙ্গবন্ধুর কর্ম, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনকে সমর্থন করে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের সংকলন প্রকাশ করার জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ  আশা করেন, এই সংকলনের মাধ্যমে সবাই বঙ্গবন্ধুর অজানা আরো অনেক তথ্য জানতে পারবে। এই সংকলন প্রকাশিত না হলে, এই কথাগুলো হারিয়ে যেতো। স্বাধীনতার পূর্বেও বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বিজ্ঞাপনের সংকলন একটি অসাধারণ প্রকাশনা।

শিশুর নাম ব্যবহার করে অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয় : তথ্যমন্ত্রী