28 Feb 2025, 07:29 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আশরাফুল ইসলাম (৩৫)র ছুরিকাঘাতে চাচাতো ভাই মোঃ নিয়ামুল (২৫) নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে এবং গ্রেপ্তারকৃত আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েরই মাদকের কারবার রয়েছে। এ নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকালে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যান। পরে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করে সে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত নিয়ামুলের বিরুদ্ধে পূর্বের একটি মাদক মামলা রয়েছে। কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার তদন্ত চলছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় আবদুল লতিফ ভুঁইয়া নামের সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন। আসামি পলাতক থাকায় রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল লতিফ ভূঁইয়া রূপালী ব্যাংক লিমিটেড লক্ষ্মীপুর জেলার পোদ্দার বাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি এলাকার আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল লতিফ ভূইয়া ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত রূপালী ব্যাংক পোদ্দার বাজার শাখায় সেকেন্ড কর্মকর্তা (প্রিন্সিপাল অফিসার) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ওই ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে চার কোটি বাহাত্তর লাখ আটান্ন হাজার চুয়াত্তর টাকা  আত্মসাৎ করেন।

যার মধ্যে ২০০৪ সালে ৬২টি ভূয়া এন্ট্রির মাধ্যমে ত্রিশ লাখ বিশ হাজার আটশ’ ঊনপঞ্চাশ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১১ সালের ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে স্থানান্তর করা হয়।

মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল হুদা আব্দুল লতিফকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুদক নোয়াখালীর উপ-পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে ১০ বছর কারাদণ্ড, বত্রিশ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

নোয়াখালীতে টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংক কর্মকর্তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আগরতলায় সবজি রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বুধবার তৃতীয় ধাপে গিয়েছে পাঁচ মেট্রিক টন সবজি। এদিন দুপুরে বিভিন্ন সবজি বোঝাই একটি ট্রাক স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় প্রবেশ করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রথমবারের মতো সবজি রপ্তানি শুরু হয় ভারতে। এরপর বুধবার পর্যন্ত তিন ধাপে মোট ১৫ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি হয়েছে। প্রতি টন সবজি রপ্তানি হচ্ছে ৪০০ মার্কিন ডলারে। রপ্তানিকৃত সবজির মধ্যে আছে কচুর লতি, গাজর, পেঁয়াজ পাতা এবং উস্তা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন সবজিগুলো রপ্তানি করেছেন। তিনি মোট ২০ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি করবেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায়।
নাসির উদ্দিন  জানান,  আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগে থেকেই সবজি রপ্তানির অনুমতি ছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সবজি রপ্তানির জন্য আগরতলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছিলাম। এর প্রেক্ষিতে পরীক্ষামূলকভাবে ২০ টন সবজি রপ্তানি হচ্ছে। আশা করছি অন্যান্য পণ্যের মতোই নিয়মিত সবজি রপ্তানি হবে।
এই ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, নিয়মিত রপ্তানি হলে বন্দর কর্তৃপক্ষের রাজস্ব বাড়বে এবং সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা পাবে। তবে এবার রপ্তানি বাণিজ্যের তালিকায় নতুন করে সবজি যুক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গেল ৫ মেট্রিক টন সবজি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তিন বছরের সাজা থেকে বাঁচতে ৩০ বছর পালিয়ে ছিলেন বরিশালের ফিরোজ মল্লিক। অবশেষে বুধবার রাতে উপজেলার কালিহাতা গ্রামের অভিযান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে উজিরপুর থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ফিরোজ মল্লিক (৬০) উপজেলার কালিহাতা গ্রামের আব্দুল মজিদ মল্লিকের ছেলে। গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ফিরোজ।

উজিরপুর মডেল থানার এসআই মেহেদী হাসান মিলন বলেন, ‌‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে কালিহাতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফিরোজ মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সকালে বরিশাল আদালতে সোপর্দ করলে দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।’

১৯৯৩ সালের একটি মারামারির মামলায় ফিরোজকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত উল্লেখ করে এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘ওই সাজা থেকে বাঁচতে ৩০ বছর পালিয়ে ছিলেন ফিরোজ। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে এতদিন পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে গ্রেফতার হন।’

৩ বছরের সাজা থেকে বাঁচতে ৩০ বছর পালিয়ে ছিলেন বরিশালের ফিরোজ মল্লিক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আবারও আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন মামলার শুনানিতে আইনজীবীরা অংশ না নেওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। এতে মামলাজট তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় বিচারপ্রার্থীদের শুনানিতেই মামলা নিষ্পত্তি করছেন আদালত। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বিচারপ্রার্থীদের শুনানিতেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এ শুনানি বর্জন করে আসছেন আইনজীবীরা। এতে অসংখ্য মামলার শুনানি ব্যাহত হয়। গত ২২ কার্যদিবসে প্রায় দুই হাজার মামলার শুনানি ব্যাহত হয়েছে। এ অবস্থায় আদালতের অনুমতিক্রমে বিচারপ্রার্থীরা নিজেরাই মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শুনানিতে অংশ নেন।

সূত্র আরও জানায়, মঙ্গলবার ৫৭টি মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। এরমধ্যে দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন আসামিরা। বুধবার ৬৩টি মামলার শুনানি ছিল। তবে এদিনও কোনো আইনজীবী আদালতের এজলাসে উপস্থিত না থাকায় বিচারপ্রার্থীরা নিজেরাই শুনানি করেন। এরমধ্যে দুটি মামলা উভয় পক্ষের সম্মতিতে সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি হয়।

এরমধ্যে বাদী মদিনা বেগম তার প্রতিবেশী খায়ের মিয়ার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা উঠিয়ে নেন। ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেন সেতু আক্তার নামের এক নারী। বুধবার তিনি যৌতুকের অভিযোগ তুলে নেন।

এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক তার খাসকামরায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনে বলা আছে, কেউ যদি কোনো মামলা নিজে পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে এতে কোনো বাধা নেই। নিজেই মামলার শুনানি করতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের কাজ করতে আসেনি। এসেছি আইনের কাজ করতে। এজলাসে আমি উঠতে বাধ্য যদি উচ্চ আদালতের নির্দেশ বা কোনো আদেশে আমাকে বদলি করা না হয়।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ তুলে আদালত বর্জন করে আসছেন আইনজীবীরা। গত ১ ডিসেম্বর আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ আইনজীবীদের। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে বিচারক ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়া বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা।

এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এবং আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। পরবর্তীতে দফায় দফায় ৭ কর্মদিবস আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করেন আইনজীবীরা।

বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দুদফায় তলব করেছেন উচ্চ আদালত।

এদিকে, সকাল ১০টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত পেশকার মো. নিশাতকে আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা এজলাসে এসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পেশকার নিশাত অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আদালতে কাজ করছিলাম। সকাল ১০টার দিকে আইনজীবী সমিতির সভাপতি দুজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। এসময় তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এজলাসেই থাকবো কি না, কোনো সময় কি নামতে হবে না? তিনি জজ সাহেবকে উদ্দেশ করে বলেন, হে কী পাইসে? বেশি বাড়াবাড়ি করতাছে কইলাম।’

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা। তিনি বলেন, ‘এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আমি আদালত চত্বর ঘুরে এসেছি কিন্তু ভেতরে যায়নি। আমাদের আন্দোলন চলমান। গতকাল আন্দোলন ঘোষণা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ, যা মিডিয়ায় প্রকাশ করার মতো নয়।’

 

উকিল ছাড়াই চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত ; বিচারপ্রার্থীদের শুনানিতেই  হচ্ছে জামিন ও নিষ্পত্তি

ইয়ানূর রহমান : যশোর শিক্ষাবোর্ডে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের এবারের পাসের হার ৮৩.৯৫। পাশের হারের সাথে কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যাও। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৩ জন। প্রকাশিত ফলাফলের পরিসংখ্যান থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৮.১১। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৮৭৮ জন পরীক্ষার্থী।

২০২২ সালে যশোর বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৯৮ হাজার ২৬৯ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৮২ হাজার ৫০১ জন পরীক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৭ হাজার ৭৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৬ হাজার ৬৪৭, মানবিক বিভাগ থেকে ৬৭ হাজার ৬৭২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৪ হাজার ৫৫৯ ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে ১২ হাজার ৮৫০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১১ হাজার ২৯৫ জন।

জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ছেলে ৪ হাজার ৮০৫ ও মেয়ে ৪ হাজার ১৫৭, মানবিক বিভাগে ছেলে ২ হাজার ৩০৬ ও মেয়ে ৫ হাজার ৪৪৬ এবং বাণিজ্য বিভাগে ছেলে ৯০৩ ও মেয়ে ১ হাজার ৮৬ জন রয়েছে।

২০২২ সালের পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ডে ছয়টি কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। কলেজগুলো হচ্ছে, হাজি নজরুল ইসলাম কলেজ, গোরাপাড়া, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, শেখপাড়া রাহাতননেসা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ শৈলকুপা, ঝিনাইদহ, সাউথবেঙ্গল কলেজ, কেশবপুর, যশোর, রাউতাড়া এইচএন সেকেন্ডারি স্কুল এন্ড কলেজ, মাগুরা, গোবরা মহিলা কলেজ, নড়াইল ও শিবরামপুর স্কুল এন্ড কলেজ মাগুরা। এসব কলেজ এমপিওভুক্ত না বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) সমীর কুমার কুন্ডু।

যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ওইসব কলেজকে শোকজ করা হবে। যথাযথ জবাব দিতে না পারলে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে। শতভাগ পাস করেছে ৩৯ টি কলেজ থেকে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট জাহাঙ্গীর কবির, উপ কলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাস, উপ বিদ্যালয় পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) সায়মা সিরাজ।

 

যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯৫

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম : এবারে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় ঘোষিত ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটিতেই এগিয়ে আছেন মেয়েরা। জেলায় এবার মেয়েদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ছেলেদের পাসের হার ৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চদ্র্র নাথ এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই শিক্ষা বোর্ডে ২৬৭টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৯৯৭। এর মধ্যে ১১১টি কেন্দ্রে মোট ৯১ হাজার ৯৬০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের ছাত্রের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৪২০ জন ও পাসের হার ৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর ছাত্রীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৪০ জন ও পাসের হার ৮২ দশমিক ৯২ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫৬৪ জন ছাত্র ও ৭ হাজার ১০৬ জন ছাত্রী। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এবারের ফলাফলে মেয়েরা পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিতেই এগিয়ে আছে।

এদিকে, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে গত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা কমেছে। এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ। উপস্থিত শিক্ষার্থীর বিবেচনায় এই হার নির্ধারণ করা হয়। গত বছর এই হার ছিল ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এছাড়া এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭২০ জন।

শুধুমাত্র এক বিষয়ে ফেল করেছেন ১২ হাজার ৯৩৯ জন। শতকরা হিসেবে এ হার ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। এবার ১৬টি কলেজের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এবারের পরীক্ষায় ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড জানায়, এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯১ দশমিক ৩০, মানবিক বিভাগ থেকে ৭৩ দশমিক ০৩ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৮৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা মিলিয়ে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এবার কক্সবাজার জেলার ৭৪ দশমিক ৯২, রাঙ্গামাটি জেলার ৭৫ দশমিক ৩৩, খাগড়াছড়ি জেলার ৬৮ দশমিক ৭৮ এবং বান্দরবান জেলার ৮১ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

এইচএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিতেই এগিয়ে মেয়েরা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় মকবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলীর ছেলে।

এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা. নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার দু-তিন বছর আগে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী মকবুল হোসেন।

এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান মকবুল হোসেন।

ওই ঘটনার পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন।

বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

শেরপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ