26 Nov 2024, 08:42 pm
 
বশির আল-মামুন, চট্টগ্রাম : গতকাল বুধবার রাতভর ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। রাস্তাঘাট হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে বৃহস্পতিবার  সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কর্মমুখী মানুষের দুরাবস্থার শেষ নেই।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, শুলক বহর, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, চকবাজার, বাদুরতলা,বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক, হালিশহর, ইপিজেডসহ বিভিন্ন স্থানে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে। এ কারণে সড়কে যানসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। এসব এলাকার অনেক বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে আজ বৃহস্পতিবার সকালে অফিসগামী এবং নানা প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজনকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রহিম উল্লাহ নামে নগরীর চকবাজার এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি এবং সকালে ভারী বৃষ্টিতে চকবাজার এবং কাতালগঞ্জে পানি উঠেছে। কাতালগঞ্জে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং পার্কভিউ হাসপাতালের সামনের সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহৃত হচ্ছে। লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, সড়কের ওপর কোমর সমান পানি থাকার কারণে ভোর থেকে বন্ধ রয়েছে মুরাদপুর বহদ্দারহাট সড়কে যান চলাচল। এতে সড়কের উভয় পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান  বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’

চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিতে ডুবেছে নগরীর সড়ক ; বেড়েছে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দমন-পীড়ন, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় ‘রিমেম্বারিং দ্য হিরোস কর্মসূচি’ পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার কাদির এন্ড সন্স তেলের পাম্পের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আদালতের সামনে যায়। কিন্তু আদালতের মূল ফটক আটকে দিয়ে আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা। সেখানে বাধার সম্মুখীন হলে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পুরাতন জেলখানার গোলচত্বরের দিকে রওনা হয়। কিন্তু গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মিছিলটি আবারও বাধার মুখে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

প্রায় একঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা আবারও গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সড়কের দুই পাশে শত-শত যানবাহন আটকা পরে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দিয়েছে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের বেশকিছু আইনজীবী ও স্থানীয় অভিভাবক।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

 

 

কোটা আন্দোলন ; গাইবান্ধায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক নানা আয়োজনে লালমনিরহাটের বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল মুজিব-ইন্দিরা নগরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিলুপ্ত ছিটমহল সমন্বয় আন্দোলন কমিটির সভাপতি গোলাম মতিন রুমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট -১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু পুর্ণ চন্দ্র রায়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও নিলফামারী জেলার বিলুপ্ত ছিটমহলের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা পহেলা আগষ্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ছিটমহল মুক্ত দিবস ঘোষণার দাবী জানান বক্তারা।

লালমনিরহাটে বিলুপ্ত ছিটমহলে বর্ষপূর্তি উদযাপন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক গোপালগঞ্জ  জেলার মুকসুদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আপন দুইভাই নিহত ও অটোরিক্সা চালক আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ডোমরাকান্দি নামক স্থানের লাম-মিম হোটেলের সামনে ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্টো ব-১১-৮৫৭৪)  এবং একই দিক থেকে আসা ট্রাক (ঢাকা মেট্টো: ট- ১৩-০০৬৭) অটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী আপন দুইভাই বশার শেখ (৪০) ও খায়ের শেখ (৩৫)  নিহত হন। এছাড়া, অটোরিকশা চালক হাসান শেখ (২৮) গুরুতর আহত হন।
পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে এবং আহত অটোরিকশা চালককে চিকিৎসার জন্য রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতরা উপজেলার বিশ্বম্ভরদী গ্রামের রাহেন শেখের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
মুকসুদপুর থানার ওসি আশরাফুল আলম জানান, বরইতলা থেকে রাজৈরগামী ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহন এবং একই দিক থেকে আসা ঢাকাগামী একটি ট্রাকের মাঝখানে পড়ে যায় এবং দুর্ঘটনা ঘটে। এতে করে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশা যাত্রী আপন দুইভাই নিহত হন এবং চালক গুরুতর আহত হন।
পুলিশ,  লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে এবং আহত অটোরিকশা চালককে চিকিৎসার জন্য রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি, তবে ঘাতক বাস ও ট্রাক আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইভাই নিহত