25 Nov 2024, 06:45 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। সতর্কতা জারি করে তিনি বলেছেন, বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির চেয়েও সেটি ‘মারাত্মক ও প্রাণঘাতী’ হতে পারে।

তিনি এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন করোনা মহামারি কাটিয়ে বিশ্বজুড়ে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।

এরপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছিল ডব্লিউএইচও। তবে সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ কমে আসায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস অবশ্য বলছেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও তা বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়।’

তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বে করোনাভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনও রয়ে গেছে যা নতুন করে এই রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে এবং নতুন করে আরও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার মারাত্মক হুমকি এখনও রয়ে গেছে।’

মঙ্গলবার ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে নিজের রিপোর্ট পেশ করার সময় ডব্লিউএইচওর প্রধান এসব কথা বলেন। তিনি বলছেন, যখন পরবর্তী কোনও মহামারি আঘাত হানবে তখন আমাদের অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক, সম্মিলিতভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার মতো প্রস্তুত থাকতে হবে।

টেড্রোস বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যার সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত।

এছাড়া করোনা মহামারি ২০১৭ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে ঘোষিত ট্রিপল বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিকেও ক্ষতির মুখে ফেলেছে।

 

বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ১৯৫ জন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ইরান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৮৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার।

সোমবার (২২ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ২৮ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮৩ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ১৯৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৯ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯২ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৭০ জনের।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ইরান। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬২ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৬ লাখ ১১ হাজার ১৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৩০ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬০ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৩৪০ জন মারা গেছেন।

মেক্সিকোতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৪ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৬ লাখ ১০ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬ জনের।

ইন্দোনেশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭২ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৮ লাখ ১ হাজার ৬১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৭১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩২ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন।

ফিলিপাইনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৮০ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৬ হাজার ৪৬৬ জনের।

বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৯৯ জনের মৃত্যু ; শনাক্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ১৯৫

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৫৪৪ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯১৮ জন। এসময়ে শনাক্ত বেড়ে ৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।

রোববার (২১ মে) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দক্ষিণ কোরিয়ায়। দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৮৭ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৩ কোটি ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৬৭০ জন।

একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১০ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার ৩২৫ জন এবং মারা গেছেন ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৩৪০ জন।

ইন্দোনেশিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ৬৭২ জন শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৬৮ লাখ ১ হাজার ৬১৫ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৭১ জন।

মেক্সিকোতে একদিনে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৬৪ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৭৬ লাখ ১০ হাজার ১৭৯ জন এবং মোট মারা গেছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬ জন।

 

 

বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৬৫ জনের মৃত্যু ; শনাক্ত ২৫ হাজার ৫৪৪