28 Feb 2025, 07:42 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইথ সরবরাহে বাংলাদেশকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। কারণ হিসেবে ট্রানজিটের কারণে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা দুর্বল হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘গাইডলাইন অনুযায়ী এ ধরনের “ট্রানজিট” ব্যবস্থা দেওয়ার কোনো বিধান নেই।’ এরপরই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত সপ্তাহে টেলিকম মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাদের আগের আবেদনটি প্রত্যাহার করতে বলে।

বিটিআরসির নথি অনুযায়ী, এ ট্রানজিটের কারণে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হবে এবং ভারত এখানে শক্তিশালী হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ভারত লাভবান হবে।

গত বছর ভারতের  টেলিকম সংস্থা ভারতী এয়ারটেল মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের জন্য সামিট কমিউনিকেশনস এবং ফাইবার অ্যাট হোম আবেদন করলে বিটিআরসি এ ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-১ আসনের পাঁচ বারের সংসদ সদস্য ফারুক খানের ছোট ভাই সামিট কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরিদ খান একইসঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ফাইবার অ্যাট হোম ছিল অন্যতম সুবিধাভোগী। সরকারি চুক্তি ও লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তারা সামিট কমিউনিকেশন্সের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল।

দুই আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল কেবল অপারেটর বিটিআরসির অনুমতি চাওয়ার আগে, আগের বছর ভারতী এয়ারটেল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করে। এতে তারা আখাউড়া হয়ে আগরতলাকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও কুয়াকাটার সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে কানেক্ট করে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল।

বলা হয়, এই ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ট্রানজিট রুট হিসাবে কাজ করবে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মিজোরাম, মণিপুর, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের জন্য দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত হবে।

বর্তমানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত রাজ্যগুলো চেন্নাইয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্ত। চেন্নাইয়ের সাবমেরিন কেবল প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এই সুবিধা দিয়ে থাকে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট দেবে না বাংলাদেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মুসলিম নাগরিক অধিকার সংস্থা কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অর্থাৎ ইসরাইলের মসজিদগুলো থেকে আযান প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং লাউডস্পিকার বাজেয়াপ্ত করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা এটাকে পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করছে।

সম্প্রতি দখলদার ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে বলেছে, তারা যেন ইসরাইলি ভূখণ্ডে অবস্থিত মসজিদগুলো থেকে আজান প্রচারে বাধা দেয়।

ইসরাইলের এই চরমপন্থী মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী মসজিদে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে এবং আযান দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত লাউডস্পিকারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা করার ক্ষমতা পেয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, যেসব মসজিদ থেকে আযান প্রচার করা হবে সেগুলোকে জরিমানা করা হবে।

শাবেস্তান বার্তা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)’র নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আউয়াদ বলেছেন- ফিলিস্তিনি সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার জন্য দখলদার ইসরাইল গত কয়েক দশক ধরে যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তার অংশ হিসেবে মসজিদ, গীর্জা ও সাংস্কৃতিক স্থানের উপর হামলা করা হচ্ছে এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ও সনদের অবমাননা করা হচ্ছে।

নিহাদ আওয়াদ আরও বলেছেন, ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে ইসরাইল, এর মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনি জাতিকে নিধন করতে চায়।

কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমর্থন ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করার জন্য দখলদারদেরকে আরও সাহসী করে তুলেছে। তিনি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে তা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজানে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে ইসরাইল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সিরিয়াকে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সন্ত্রাসবাদ ও হুমকির কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়।

গতকাল (শুক্রবার) ইরাকের টেলিভিশন চ্যানেল আলাআওলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন আরাকচি। সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসবাদীদের চলমান তাণ্ডব এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য গতকাল তিনি ইরাক সফর করেন।

সাক্ষাৎকারে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি ও সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হিসেবে সিরিয়াকে ব্যবহারের জন্য ইসরাইল এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তিনি বলেন, সিরিয়া সরকার এবং জনগণের জন্য ইরান সব সময় সমর্থন যুগিয়েছে। দামেস্ক এখন আমাদের কাছে কী ধরনের সমর্থন চায় তারওপর ভিত্তি করে আমরা সমর্থন অব্যাহত রাখব।”

সিরিয়ায় যখন উগ্র সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো আবার শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে এবং নতুন করে সাধারণ জনগণ ও সরকারের বিরুদ্ধে তাণ্ডব শুরু করেছে তখন আব্বাস আরাকচি এসব কথা বললেন। সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং পশ্চিমা দেশগুলোর আগা-গোড়াই সমর্থন ছিল।

ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা উল্লেখ করে আরাকচি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে সত্যিকার অর্থে লেবাননের জন্য গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি উঠেছিল। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র বানচাল করা হয়েছে এবং লেবাননের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যকার ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ইসরাইল ও তাকফিরিরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রে পরিণত করতে চায় : ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অবস্থানরত ৫০ হাজার বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমা পেয়েছে।  জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের অবৈধ প্রবাসীদের জন্য এই সাধারণ ক্ষমা সুযোগ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ৫০ হাজার বাংলাদেশি এই সুযোগ গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া এখনও যারা এই সুযোগ নেননি, তাদেরকে তা নেয়ার আহ্বান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমিরাত সরকার চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ হাজার বাংলাদেশি এ সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন।  যারা এখনও এ সুযোগ নেননি, তাদের তা নেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাতের ভিসা খোলার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমিরাত বিভিন্ন সময়ে তাদের ভিসানীতি পরিমার্জন করে থাকে। এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। জুলাইয়ের আগে থেকেই আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসানীতি পরিবর্তন করে। জুলাইয়ের পর তাদের ভিসানীতি আরও কঠিন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও আমিরাত সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। তবে যেসব ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে, তা আমিরাত কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

৫০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশিকে সাধারণ ক্ষমা করলো আমিরাত সরকার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক পঞ্চগড়ে মোমিনপারা সীমান্তে আনোয়ার হোসেন নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো আনোয়ারের বাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের দেবনগর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

নীলফামারী ৫৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারসহ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে যান। ভোরের দিকে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। পরে গুলি চালায় বিএসএফ। ওই সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন আনোয়ার। তার মরদেহও নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

বিজিবি আরও জানায়, সীমান্তে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারিদের প্রতিহত করার জন্য আটটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্প সদস্যরা।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ৎপতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের মরদেহ ফেরত আনা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি গরু জব্দ করে বিজিবি।

পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ