01 Mar 2025, 09:33 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইরানে রাসায়নিক অস্ত্রের দ্বারা হামলার শিকার ব্যক্তিরা এখনো ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত অবৈধ নিষেধাজ্ঞার কারণে চরমভাবে ভুগছে।

কাজেম গরিবাবাদি গত (বুধবার) হেগে অনুষ্ঠিত রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (সিএসপি-২৯) সম্মেলনের ২৯তম অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।

সম্মেলনে তিনি বলেন যে ইরানে রাসায়নিক অস্ত্রের দ্বারা  হামলার শিকার ভুক্তভোগীরা  এখনও ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর অবৈধ নিষেধাজ্ঞার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাই ক্ষতিগ্রস্থ এসব ব্যক্তিদের সমর্থন করার জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে তিনি এই সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠকে গরিবাবাদী বলেন, কিছু দেশ বিশেষ করে জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের বাথ সরকারকে রাসায়নিকের প্রধান সরবরাহকারী হিসাবে ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অপরাধের সাথে জড়িত এবং তাদের বেআইনি কাজের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। একইসঙ্গে ইরানের রাসায়নিক ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পশ্চিমা মদদে ইসলামী ইরানের ওপর ইরাকের সাদ্দাম সরকারের চাপিয়ে দেয়া ৮ বছরের যুদ্ধে মার্কিন ও পশ্চিমা সরকারগুলোর সহায়তা নিয়ে সাদ্দাম-বাহিনী ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে রাসায়নিক অস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করেছে এ জাতীয় অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও। বাথিস্টরা ১৯৮০ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে ২৫ আগস্ট ১৯৮৮ সালে সীমিত, পরীক্ষামূলক ও ব্যাপক পরিসরের রাসায়নিক হামলা চালায়। এইসব হামলায় দশ হাজারেরও বেশি ইরানি শহীদ, প্রায় এক লাখ ব্যক্তি আহত ও অবিরাম চিকিৎসার মুখাপেক্ষী হন এবং আড়াই লাখ ইরানি অ-গুরুতর পর্যায়ে আহত হন।

ইরাকের বাথিস্ট সরকার ১৯৮৭ সালের ২৮ ও ২৯ জুন ইরানের জনবহুল সীমান্ত-শহর সারদাশত-এর চারটি এলাকায় রাসায়নিক বোমা হামলা চালায়। এতে ১১০ জন বেসামরিক ইরানি শহীদ ও ৮ হাজার ব্যক্তি বিষাক্ত গ্যাসের সংস্পর্শে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন।

সারদাশত শহরে যে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর এমন তীব্র মাত্রার রাসায়নিক হামলার ঘটনা আর কখনও ঘটেনি। ইরানের ওপর ইরাকের সাদ্দাম সরকারের চাপিয়ে দেয়ার যুদ্ধের সময় ৩২ টি বিদেশী কোম্পানি রাসায়নিক বোমা ও গ্যাস তৈরি করতে ইরাকের কাছে রাসায়নিক সামগ্রী বিক্রি করেছে। ইরাক এইসব রাসায়নিক বোমা ও গ্যাস ব্যবহার করেছে ইরানের যোদ্ধা ও বেসামরিক জনগণের ওপর।

তিনি বলেন, কিছু পশ্চিমা দেশ, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল দুর্ভাগ্যবশত দায়মুক্তি ভোগ করে ফিলিস্তিন ও লেবাননে তার অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে।

গরিবাবাদি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই জাতিসংঘ সনদের সাত নম্বর অধ্যায়ের অধীনে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং বিশ্বের সকল দেশকে তেল আবিবের সঙ্গে অর্থনৈতিক, সামরিক বা অস্ত্র সহযোগিতা থেকে বিরত থাকতে হবে।

দখলদার ইসরাইল চলমান যুদ্ধে লেবানন ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জনগণের বিরুদ্ধে বহুবার নিষিদ্ধ ঘোষিত হোয়াইট ফসফরাস এবং স্বল্প-মাত্রার ইউরেনিয়ামযুক্ত নিষিদ্ধ বোমা ব্যবহার করেছে।

ইরানের এই সিনিয়র কূটনীতিক বলেন “আমরা ফিলিস্তিন ও লেবাননের নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর রাসায়নিক অস্ত্র, হোয়াইট ফসফরাস এবং স্বল্প-মাত্রার ইউরেনিয়ামসহ অন্যান্য বিপজ্জনক উপাদান ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাই।”

গত মাসে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছিল, ইহুদিবাদী সেনারা লেবাননের কাফার শুবা এলাকার উপকণ্ঠে ফসফরাস শেল ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে গোলাবর্ষণ করেছে। এছাড়া, ২৭ সেপ্টেম্বর দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে ৮০ টন অস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল যাতে স্বল্প-মাত্রার ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হয়। ওই দিনের বোমা হামলায় হিজবুল্লাহর সাবেক মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ শাহাদাতবরণ করেন।

সাদ্দাম বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্রের দ্বারা হামলার শিকার ইরানিরা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ভুগছে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে মোট ১৮৮ জনকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দিয়েছে আরব আমিরাত।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, এ ইস্যুতে আমিরাতে আর কোনো বাংলাদেশি গ্রেপ্তার নেই।

এর আগে দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সারওয়ার আলম লেখেন, ‘জুলাই-আগস্ট  ২০২৪-এ ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিছিল ও বিক্ষোভ করায় আটক আরও ৭৫ প্রবাসী বাংলাদেশিকে আজ ক্ষমা করল আমিরাত সরকার।  এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৮৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে আমিরাত সরকার।’

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ বাংলাদেশির শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন। প্রধান উপদেষ্টা এ সুখবরটি পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত সরকার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক ইসরাইলের বিরুদ্ধে অপারেশন ট্রু প্রমিজ বা ‘সত্য প্রতিশ্রুতি-এক’ শীর্ষক অভিযানে ইরান একই সময়ে ব্যবহার করেছিল ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন যাতে অত্যাধুনিক ইসরাইলি, মার্কিন ও ইউরোপীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর বাস্তব শক্তি কতটা তা বোঝা যায়।

এরপর ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘সত্য প্রতিশ্রুতি-দুই’ শীর্ষক অভিযানে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে সেসবের শতকরা ৯০ ভাগই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘সত্য প্রতিশ্রুতি-তিন’ শীর্ষক অভিযানে ইরান সম্ভবত নতুন কিছু কৌশল ও হাতিয়ার প্রয়োগ করবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি সম্প্রতি বলেছেন যে ইসরাইল বহু চেষ্টা করে এসেছে ইরানকে ও আরও অনেক পক্ষকে একটি যুদ্ধে জড়িত করতে, কিন্তু ইরান কোনো যুদ্ধে না জড়িয়ে হামলার জবাবে হামলার করার কৌশল গ্রহণ করেছে এবং এরই আলোকে ইরানের ওপর সর্বশেষ ইসরাইলি হামলার জবাব দেয়ার অধিকার তেহরানের রয়েছে। ইরান আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বৈধ জবাব হিসেবে অবশ্যই ইসরাইলে হামলা চালাবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ইসরাইলে ইরানের হামলা অবধারিত তথা অনিবার্য, কিন্তু কখন ও কিভাবে এই হামলা চালানো হবে তা ঠিক করা হবে পরিবেশ ও পরিস্থিতির আলোকে। আমরা তাড়াহুড়াও করব না আবার বিলম্বও করব না।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন ইরানের প্রতিটি হামলাই হবে পরিকল্পনা, কৌশল ও হাতিয়ার প্রয়োগের দিক থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ও ভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যে ভরপুর।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রথম অভিযানটিতে তেহরান একই সময়ে ব্যবহার করেছিল ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন যাতে অত্যাধুনিক ইসরাইলি, মার্কিন ও ইউরোপীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর বাস্তব শক্তি কতটা তা বোঝা যায়। ইসরাইল এইসব প্রতিরক্ষা সিস্টেম সংগ্রহ করেছে ২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধ অবসানের পর বিপুল অর্থ ব্যয় করে যাতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হয় অত্যন্ত জোরালো। প্রথম ওই অভিযানে ইরানের বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি প্রতিরক্ষা-ব্যূহ ভেদ করে লক্ষ্যস্থলগুলোতে আঘাত হেনেছে।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযানে ইরান কেবল উন্নতমানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ছিল হাইপারসনিক ফাত্তাহ ও ফলাফল ছিল অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে সফল। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইরানের নিক্ষেপ-করা ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র অধিকৃত ফিলিস্তিনে তথা ইসরাইলের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হানে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে। ফলে ইসরাইলের ‘অ্যারো’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অকার্যকারিতা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ইসরাইল ‘থাড’ নাম

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘সত্য প্রতিশ্রুতি-তিন’ শীর্ষক অভিযানে ইরান হয়ত ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ নানা অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রে হামলা চালাবে, যেমন ইসরাইলি শহরগুলোর নানা অবকাঠামো, গ্যাস ও তেল-ক্ষেত্র, পানি-সম্পদ কেন্দ্র। আর এসব হামলা ইসরাইলের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে। ইসরাইলে ইরানের অতীত হামলাগুলো ছিল কেবল সামরিক লক্ষ্যগুলোতে কেন্দ্রীভূত।

ইরান অতীতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্বাদ্‌র, ইমাদ ও ফাত্তাহ’র মত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করলেও খুররমশাহর ও সিজ্জিল-এর মত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করেনি। এইসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ও ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি যা সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ইসরাইলি হঠকারিতার মোকাবেলায় ট্রাম্প কার্ড হতে পারে।  এমনকি ইরান যদি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘সত্য প্রতিশ্রুতি-দুই’ শীর্ষক অভিযানের মত অভিযানেরও পুনরাবৃত্তি করে কেবল লক্ষ্যবস্তু বা টার্গেটগুলোর তালিকায় পরিবর্তন এনে তাহলেও ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে কয়েক গুণ।

আসলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘সত্য প্রতিশ্রুতি-এক ও দুই’ শীর্ষক অভিযানগুলো গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ইসরাইলি হুমকির মোকাবেলায় ইরানের শক্তি-প্রদর্শনের মাধ্যম। ইসরাইলে সম্ভাব্য নতুন ইরানি হামলার রূপরেখা অস্পষ্ট হলেও এটা স্পষ্ট যে এতে নতুন নতুন কৌশল ও হাতিয়ার ব্যবহার করা হবে যাতে ইসরাইলের উচ্চ পর্যায়ের হঠকারী মানসিকতার অসারতা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা যায়।

ইরানের তিন নম্বর ‘সত্য প্রতিশ্রুতি’ অভিযানে টার্গেট হতে পারে ইসরাইলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আলেপ্পো প্রদেশে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র আরো এক সিনিয়র উপদেষ্টা নিহত হয়েছেন।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়োমার্স পুরহাশেমি যিনি হজ হাশেম নামে পরিচিত তিনি গতরাতে ইহুদিবাদী তাকফিরি সন্ত্রাসীদের হামলায় আলেপ্পো শহরের উপকণ্ঠে শহীদ হয়েছেন।

জেনারেল কিয়োমার্স হাশেমি সিরিয়ায় নবী বংশের অন্যতম সদস্য সাইয়েদা জয়নাব (সা.আ)-এর মাজার রক্ষা এবং সিনিয়র সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন। সিরিয়া সরকারের আমন্ত্রণে ইরানের এই শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং সিরিয়ায় শান্তি স্থিতিশীলতা ও টেকসই নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে সিরিয়া বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ তাণ্ডবের শিকার হয়। এ সময় থেকে সিরিয়া সরকারের আমন্ত্রণে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান আরব দেশটিতে সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্যকে মোতায়েন করে যারা সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। এসব সামরিক উপদেষ্টা সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশকে পরাজিত ও দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।

সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বহুসংখ্যক দেশ এবং ইসরাইল ও তার আঞ্চলিক মিত্ররা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র পরিবর্তনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার আওতায় সিরিয়া এবং ইরাকে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল।

সিরিয়ায় তাকফিরি সন্ত্রাসীদের হামলায় আইআরজিসি’র সামরিক উপদেষ্টা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ