01 Mar 2025, 12:16 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতের পরপরই লেবাননের সাথে সীমান্ত ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি হামলায় ছয় জন নিহত হয়েছে।
হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এ হামলা চালানো হয়েছে।মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইসরায়েলি শত্রুরা লেবাননের দিক থেকে সিরিয়া ও লেবাননের মধ্যকার সীমান্ত ক্রসিং লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।’

দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এ আগ্রাসনে দুই সৈন্যসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। হামলায় নিহত বাকিরা বেসামরিক নাগরিক। এ হামলায় শিশু, নারী ও সিরিয়ার আরব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীসহ ১২ জন আহত হয়েছে।’

লেবাননের সীমান্ত ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি হামলায় ৬ নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লেবাননে যুদ্ধবিরতি আসন্ন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ব্যাপকভাবে যে খবর প্রচার করছে এবং হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কীভাবে রাজনৈতিক ও সামরিক ভারসাম্য ওলট-পালট করে দিয়েছে তার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন একজন আরব রাজনৈতিক ভাষ্যকার।

পার্সটুডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আব্দুলহামিদ আতওয়ান নামক প্রখ্যাত এই কলাম লেখক আরবি দৈনিক রাই আল-ইয়াওম পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন: মার্কিন ও ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো পড়লে আপনার কাছে মনে হবে, লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার মন্ত্রিসভার বৈঠকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছেন। এখন এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করতে যেকোনো সময় লেবাননে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি আমোস হকস্টাইন বৈরুতের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ত্যাগ করতে পারেন।

এই আরব রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরো বলেন: হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা রোববার (২৪ নভেম্বর) ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব, হাইফা ও সাফেদ শহরের সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে অন্তত ২৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী ড্রোন নিক্ষেপ করে।  ভয়াবহ ওই হামলা থেকে বাঁচতে প্রায় ৪০ লাখ ইহুদিবাদী ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ছুটে যায়। তেল আবিবের বেন গুরিয়েন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয় এবং ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যায়।

আতওয়ান আরো বলেন, হিজবুল্লাহর হামলায় যখন ইসরাইলি নাগরিকরা দিশেহারা এবং তাদেরকে প্রবোধ দেয়ার মতো কোনো বাণী-বক্তব্য নেতানিয়াহুর ঝুলিতে নেই তখন এসব মানুষকে শান্ত রাখার কৌশল হিসেবে ব্যাপকভাবে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির খবর প্রচার করা হচ্ছে।

এই আরব বিশ্লেষক আরো বলেন, যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে এ ধরনের ইতিবাচক খবর প্রচারের আরেকটি কারণ উত্তর ইসরাইলে বসবাসরত ইহুদিবাদীদের এই বলে আশ্বস্ত করা যে, তাদেরকে এখন যেমন প্রতিদিন বারবার হিজবুল্লাহর হামলার কারণে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যেতে হচ্ছে, যুদ্ধবিরতি হয়ে গেলে সে পরিস্থিতি আর থাকবে না বরং তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। তার মতে, লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে একইসঙ্গে গাজায়ও যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে; তা না হলে ইসরাইলের অর্থনীতি অপমৃত্যু ঘটবে।

রোববারের হামলায় ইসরাইলের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর অ্যাশদোদে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এছাড়া, ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হিজবুল্লাহর হামলায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইহুদিবাদীরা হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য আরো যেসব কারণে তাড়াহুড়ো করছে তা হলো, হিজবুল্লাহ যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত অ্যাশদোদ শহরে হামলা চালিয়েছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনা দিমুনায় হামলা চালানো সম্ভব।

এই আরব বিশ্লেষক বলেন: লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ এমন সময় ইসরাইল জুড়ে এমন ভয়াবহ হামলা চালায় যখন নেতানিয়াহু মিথ্যা দাবি করে বলেছিল, ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৮০% সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এই সংগঠন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়েছে।

আতওয়ানের মতে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে নেতানিয়াহুর সম্মতি এবং এ সংক্রান্ত খবর ফলাও করে প্রচারের ফলে বোঝা যায়, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে তেল আবিব। বিশেষ করে, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালিয়ে ইসরাইল তার কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।  হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা, অথবা অন্তত দক্ষিণ লেবানন থেকে এই সংগঠনকে উত্তর দিকে হটিয়ে দেয়া ছিল ইসরাইলের স্থল অভিযানের ঘোষিত লক্ষ্য। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই অর্জিত হয়নি।

লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইসরাইলের ২৪ নম্বর টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক জাভি ইয়াজাকেলি বলেছেন: যুদ্ধবিরতি মানে আমরা নতি স্বীকার করেছি।

ইসরাইলের কান নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন তা বুধবার সকাল থেকে কার্যকর হবে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে যা এখনও চলছে। এর জবাবে ইসরাইলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে সমান তালে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ।

 

যুদ্ধ-বিরতির অর্থ হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে ইসরাইলের পরাজয়ের স্বীকারোক্তি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফাঁসি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী যে ভাষণ দিয়েছেন তা সমর্থন করে সামাজিক মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ইমাম খামেনেয়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজের হাজার হাজার সদস্যের সমাবেশে দেয়া ভাষণে বলেন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তার পাশাপাশি ইসরাইলের অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধেও মৃত্যুদণ্ড জারি করতে হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ওই ভাষণের পর সামাজিক মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছেন। পার্সটুডের এই রিপোর্টে এরকম কয়েকজন এক্স ব্যবহারকারীর মন্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে:

নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী : ইরানি এক্স ব্যবহারকারী সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ হোসেইনি লিখেছেন: ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে ফাঁসি দেয়া হলে তা হবে তার জন্য ন্যুনতম শাস্তি।

হোসেইনি লিখেছেন: বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী যার ন্যুনতম শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং পরকালে তার জন্য জাহান্নাম অপেক্ষা করছে; তাকে থামানোর একমাত্র উপায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।

বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষগুলোর উচিত নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সাহায্য করা : তাহা সারাবান নামক আরেক এক্স ব্যবহারকারী নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন: বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষদের উচিত অবিলম্বে ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করা এবং নেতানিয়াহুসহ সকল ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা। আমি শিশু হত্যাকারী ইসরাইলের সমর্থক পশ্চিমা নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, তারা যেন স্বাধীনচেতা জাতিগুলোর হাতে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার আগেই এই যুদ্ধাপরাধীর প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।

নেতানিয়াহুকে খতম করার নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে : ‘মিস্টার বিশ্লেষক’ ছদ্মনামের একজন এক্স ইউজার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জারি করা মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।

তিনি লিখেছেন: একদিন নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল। আজ আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে, সে একটা উন্মাদ এবং তাকে গ্রেফতার করতে হবে। নিশ্চিতভাবে তাকে খতম করার নির্দেশও বাস্তবায়িত হবে। আজকের দিনটি মনে রাখুন।

নেতানিয়াহুকে হাজার বার মৃত্যুদণ্ড দিলেও যথেষ্ট নয় : ইরানি এক্স ইউজার সামাদ খালেদিও ইহুদিবাদী যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রীর ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতি ইঙ্গিত করে এই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন: নেতানিয়াহুকে হাজার বার মৃত্যুদণ্ড দিলেও তা কম হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আদালত বা আইসিসির পক্ষ থেকে অবিলম্বে নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধাপরাধীদের গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা উচিত।

নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ : অপর ইরানি এক্স ইউজার মাহসা আলাভি নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ডকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি লিখেছেন: নেতানিয়াহু শুধু ফিলিস্তিন নয় সেইসঙ্গে গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে যুদ্ধ ও রক্তপাত চাপিয়ে দিতে চায়; তার নির্দেশে যে অপরাধযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তার অবশ্যই জবাব দেয়া উচিত। নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ।

সকল অপরাধযজ্ঞের পেছনে রয়েছে নেতানিয়াহু : ইরাকের আরেক এক্স ব্যবহারকারী ফাতেমা সাদাত গাদিরি মনে করেন, সমসাময়িক ইতিহাসে নেতানিয়াহুর মতো অপরাধী খুব কম পাওয়া যাবে যে কিনা এত ভয়াব ও নির্দয়ভাবে অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে।

তিনি লিখেছেন: গাজার ওপর ভয়াবহ বোমাবর্ষণ ও এই উপত্যকার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে সেখানকার মানুষগুলোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার নির্দেশ নেতানিয়াহুই জারি করেছে।

 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ীর ভাষনে নেতানিয়াহুর ফাঁসির আহ্বান সময়োপযোগী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানী জ্ঞান-ভিত্তিক একটি কোম্পানির গবেষকরা সার্ভিকাল স্পাইন ইমপ্লান্ট, লাম্বার স্পাইন ইমপ্লান্ট এবং শিশুদের মেরুদণ্ডের ইমপ্লান্টসহ আন্তর্জাতিক মানের মেরুদণ্ডের ইমপ্লান্টের একটি বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিও ডিজাইন এবং উত্পাদন করতে সফল হয়েছেন।

ইরানে ব্রেইন ম্যাপিং আপডেটের ওপর অষ্টম আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন, আল্লামেহ তাবাতাবায়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনাকে ইসলামী বিশ্বের শীর্ষ জার্নালের তালিকায় স্থান দেওয়া এবং একজন ইরানী বিজ্ঞানীর প্রচেষ্টায় জ্ঞানভিত্তিক একটি কোম্পানি মেরুদণ্ডের ইমপ্লান্টের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করা ইত্যাদি ইরানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈজ্ঞানিক খবর।

জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিইরান এবং ভেনিজুয়েলার মধ্যে যৌথ সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু : ইরান ও ভেনিজুয়েলার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক যৌথ কমিশনের দশম বৈঠকের সমাপ্তির কথা উল্লেখ করে ইরানের আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা উন্নয়ন সংস্থার ডেপুটি বলেছেন: দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানিগুলো এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।

তিনি উভয় পক্ষের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ইরান-ভেনিজুয়েলা উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের আসন্ন উদ্বোধনের খবর জানান।

ইরানের আল্লামেহ তাবাতাবায়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বৈজ্ঞানিকগবেষণা প্রকাশনা মুসলিম বিশ্বের সেরা প্রকাশনার নতুন তালিকাভুক্ত হলো (কিউ ওয়ান) : ইসলামিক ওয়ার্ল্ড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সিটেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইনস্টিটিউট (আইএসসি)’র প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, আল্লামেহ তাবাতাবায়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক প্রকাশনাগুলোর আটটি Q1 এ শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। অপর ১০টি প্রকাশনাও Q2 র‌্যাঙ্কিংয়ে গৃহীত হয়েছে।

সিগারেটের ফিল্টারকে কম্পোজিটে পুনর্ব্যবহার করতে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নয়া কৌশল : তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানী গবেষকরা ব্যবহৃত সিগারেটের ফিল্টার থেকে এক ধরনের সেলুলোজ-ইপক্সি ন্যানোফাইবার কম্পোজিট তৈরি করতে সফল হয়েছে।  প্যাকেজিং শিল্পে এই কম্পোজিট বেশ কার্যকর। এই যৌগটি যান্ত্রিক এবং তাপ উভয় দিক থেকেই খুব শক্তিশালী  প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ বায়োলজিক্যাল ম্যাক্রোমোলিকিউলসে (International Journal of Biological Macromolecules) এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

পঞ্চম প্রজন্মের বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি উৎপাদনে ইরানের স্থান দ্বিতীয় : আইএসসি ইসলামিক ওয়ার্ল্ড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রেফারেন্স অ্যান্ড মনিটরিং ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলি নায়েবি বলেছেন: তুরস্ক, ইরান এবং মালয়েশিয়া পঞ্চম প্রজন্মের বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি উৎপাদনে যথাক্রমে ১৮১৭, ১৬২৫, এবং ১৬১১ ডিগ্রি নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে ইরান চতুর্মাত্রিক উন্নত প্রিন্টিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১ তম স্থানে অবস্থান করে মুসলিম বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে।

 

পঞ্চম প্রজন্মের অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক শিল্প উৎপাদনে ইরানের স্থান দ্বিতীয়

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিলের ক্যালিফোর্নিয়া শাখা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে: আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ৪৯ শতাংশ মুসলিম ছাত্র হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার।

ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য শাখার কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR) “২০২৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামোফোবিয়ার ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করেছে। ইরানের শাবেস্তান নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ৮৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার।

এই রিপোর্ট অনুসারে, ৩৭ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী বলেছে যে শিক্ষা কর্মীরা তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তাদের প্রতি বৈষম্য করেছে।

বৈষম্যের শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ জানিয়েছে যে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের অভিযোগ জানাতে চায় না এবং ৩৬ শতাংশ বলেছে যে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতে পারে না।

উল্লেখ করা যায়, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এবং বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।

আমেরিকার পুলিশ ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ চলাকালে অনেক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে এবং এমনকি তারা কয়েকজন গ্রেফতারকৃত মুসলিম ছাত্রীর হিজাব খুলে ফেলার চেষ্টা করেছে।

গাজায় ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে ছাত্র ও শিক্ষকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করায় মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা হার্ভার্ড, পেনসিলভানিয়া এবং এমআইটি এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানদের জবাবদিহিতা করার নির্দেশ দেয়। মার্কিন কংগ্রেস আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদেরে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ করার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করার পর জবাবদিহিতার ওই  পদক্ষেপ নেয়া হয়।

 

 

 

ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম ছাত্ররা বৈষম্যের শিকার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি। বাংলাদেশে চরমপন্থীদের দ্বারা হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এখন এই ঘটনা ঘটল।

বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পাশাপাশি চুরি ও ভাঙচুর এবং দেবতা ও মন্দির অবমাননার একাধিক নথিভুক্ত ঘটনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবি উপস্থাপনকারী একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিপরীতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারী-দুষ্কৃতিকারীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা (ভারত) চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারী সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’

বিবৃতিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল সংখ্যালঘুদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি।

প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় দাসকে। ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণর জন্য জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ