22 Jan 2025, 07:04 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উত্তরের হিমেল হাওয়ার শুরুতেই বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসতে শুরু করে বাংলাদেশে। উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা, পটুয়াখালী, বরগুনা, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা এলাকার সামাজিক বনায়ন গুলোতে ডাহুক, তীরশুল, নলকাক, ভাড়ই, রাঙ্গাবনী, গাংচিল, রাতচড়া, হুটটিটি, হারগিলা, বালিহাঁস, সরালি কাস্তে, হুরহুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় শীতের শুরু থেকে। যা চলে গ্রীস্মের আগ পর্যন্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই সময়টাতে অপতৎপরতা বাড়ে চোরা শিকারীদের। এখনো এসব অঞ্চলে চলছে পাখি শিকারের মহোৎসব।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিষটোপ কিংবা ফাঁদ পেতে অবাধে শিকার করা হচ্ছে অতিথি পাখি। এতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবসহ অতিথি পাখির আগমন দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু পাখি শিকার চালিয়ে যাচ্ছে।

কুয়াকাটার আরজু বেগম জানান, তার বসতবাড়ির সাথে দেড় বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো হয়েছে। সেখানে অতিথি পাখির আগমন হয় শীতের শুরুতে। প্রতিদিন বিকালে পাখিরা যখন দিন শেষে ফিরে আসে তখন এলাকার মানুষ ছাড়াও বাইরের এলাকা থেকে অনেকে দেখতে আসেন। সবাই মুগ্ধ হয়ে পাখিদের নীড়ে ফেরা দেখে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু শিকারী রাতের আধারে এয়ারগান আর গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করে। এজন্য গতবছর তার বাগান থেকে পাখি চলে গিয়েছিলো। এবছর রাতে তিনি পাহারাদেন। তবুও গভীর রাতে অনেকে তাকে ফাঁকি দিয়ে পাখি শিকার করে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানব কল্যাণ ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনির হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক বনায়ন গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে হাজার হাজার অতিথি পাখি আশ্রয় নিয়েছে কিন্তু অসাধু কিছু শিকারি আমাদের ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার চলছেই।

কক্সবাজারের পাখি প্রেমী সাইফুল বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের দেশে আশ্রয় নেওয়া অতিথি পাখিদের কিছু অসাধু শিকারি রাতের আধারে ফাঁদ পেতে, গুলতি, ইয়ারগান ও দিনের বেলায় বিষ টোপ দিয়ে শিকার করছে। অতিথি পাখির আশ্রয়স্থলে প্রশাসনিক নজরদারির সাথে সাথে পাখি শিকার রোধে লিফলেট বিতরণ ও প্রচার প্রচারণা করলে অতিথি পাখি শিকার কমানো সম্ভব।

এবিষয়ে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা নাম  পরিচয় প্রকাশে অনাগ্রহ দেখিয়ে বলেছেন,  বন্যপ্রাণী নিধন দন্ডনীয় অপরাধ৷ অতিথি পাখি শিকার রোধে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় সভা ও জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। সামাজিক বনায়নে পাখিদের আশ্রয়ের জন্য মাটির ভাড় বেঁধে বাসা তৈরি করা হয়েছে। কেউ যদি অতিথি পাখি শিকার করে তাকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

শীতের শেষে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় চলছে অতিথি পাখি নিধন  ; পরিবেশের জন্য হুমকি

জাফিরুল ইসলাম : স্মার্ট লাইভস্টক,স্মার্ট বাংলাদেশ’এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী-২০২৩ উপলক্ষে একদিনের প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা শাহা এর সভাপতিত্বে ও প্রাণী সম্পদ সম্পসারন কর্মকর্তা ডা,সুলতানা বেগম এর সঞ্চালনায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ চত্ত্বরে এ মেলার আয়োজন করা হয়।প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)এর সহযোগিতায় উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালের আয়োজনে প্রদর্শনী মেলায় বিভিন্ন এলাকার খামারী ৫০টি স্টলে তাদের গবাদি প্রদর্শনী করা হয়েছে।গাভী,ছাগল,কবুতর,হাঁস,মুরগি,খরগোশ,ভেড়া,কবুতর,ঘাস চাষ,ঘাস কাটা মেশিন,কৃত্রিম প্রজনন,চিকিৎসা সামগ্রী ও চিকিৎসা নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন খামারীরা।প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ট খামারীদের মাঝে পূরুষ্কার হিসাবে চেক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

পৌর মেয়র মো:ফারুক হোসেন,উপজেলা কৃষি অফিসার হাফিজ হাসান,ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন,জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল হুদা তুষার, সমাজসেবা কর্মকর্তা শিউলী রানী, প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান, হরিণাকুণ্ডু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত সালাম, সহ-সভাপতি ইনদাদুল হক বিশ্বাস, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: উজ্জ্বল কুন্ডু।

 

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ উজ্জ্বল কুন্ডু বলেন, প্রাণিসম্পদ মেলার মাধ্যমে এই উপজেলার পশু পালন ও খামারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি দিয়ে আমরা এই মেলা আয়োজন করা হয়। আর এই মেলার মাধ্যমে দেশের প্রাণি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।বেকার যুবকদের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন,তোমদের চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হতে হবে। খামার গড়ে তুলতে হবে।তাহলে নিজের পাশাপাশি দেশের সফলতা আসবে।

ঝিনাইদহে দিনব্যাপী প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত