23 Feb 2025, 06:57 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  বিএনপিকে পাঠানো অনানুষ্ঠানিক চিঠির (ডিও) জবাবের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) কিছুটা অপেক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, সিইসি বলেছেন লিখিত দিয়েছি। লিখিত উত্তরের আশা করছি। আমরা একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এরপর আবার বসে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।

বুধবার (২৯ মার্চ) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি আসবে না বলে জানিয়েছে, এ প্রেক্ষাপটে আপনারা কী করবেন সাংবাদিকরা তা জানতে চান। বিএনপি আসছে না, অন্য কোনও দলকে চিঠি দেবেন কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে আগামীকাল আলোচনা করবো। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যখন যাকে প্রয়োজন মনে করবো আমরা আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানাতে পারি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাজই হচ্ছে সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। কমিশনের কাজ নিবন্ধিত সব দলকে নিয়ে নির্বাচন করা। এজন্য সংবিধান, আইনে যা আছে তাতে যা করা প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন তার সব করবে। আমরা আশাবাদী মানুষ। নির্বাচনের অনেক সময় আছে। এরমধ্যে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে সিদ্ধান্তে।

ইসি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না- বিএনপির এমন দাবির জবাবে আলমগীর বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মতামত আছে। সেটা তো তারা করতেই পারে। আমরা তো আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আইনগতভাবে যা করা সম্ভব তার কোনোটার চেষ্টায় ত্রুটি করছি না।

বিএনপি না এলে অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে মনে করছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, আমাদের ৪০টি নিবন্ধিত দল আছে এবং এ বছর যারা নিবন্ধন পাবে, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সেটাকে আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলবো। তবে বাস্তবতা হচ্ছে যে দেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনও নির্বাচনেই সব দল অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই সেই নির্বাচনগুলোকে অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলা যাবে না।

তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন ৭০ সালের নির্বাচনে কিন্তু সব দল অংশ নেয়নি। কিছু কিছু দল সেই নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কাজেই এক-দুইটা রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলেই যে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না, এ কথা বলা যাবে না। তবে এটা ঠিক যে যেগুলো বড় বড় রাজনৈতিক দল আছে, সে বড় বড় দলগুলো অংশ না নিলে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না।

কোনও দল না এলে কমিশনের কিছু করার নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

 

বিএনপির জবাবের জন্য ‘একটা সময় পর্যন্ত’ অপেক্ষা করবে নির্বাচন কমিশন  

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সংলাপের চিঠি পাঠানোয় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। তবে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানের মূল রাজনৈতিক সংকট নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা অথবা সংলাপ ফলপ্রসু হবে না এবং তা হবে অর্থহীন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয় এবং ইচ্ছা থাকলেও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নেই। যেহেতু মূল রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবিত আলোচনা ও মতবিনিময়ে সম্ভব নয়, সে কারণে বিএনপি এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছে না।

বিএনপির এ অবস্থান জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে আজ বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

ইসিতে আলোচনার বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে শুরুতে নানা দোলাচল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ইসির সঙ্গে কোনও আলোচনায় সায় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তার পেছনে সরকারের অবদান আছে- এমন সম্ভাবনার সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হয়ে ইসিকে কোনোরকম জবাব দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি।

তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে ফখরুল উল্লেখ করেন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে গৃহীত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব শাখাকে অনুরোধ জানানো হয়ে।

তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ বিমানের ইমেইল সার্ভার হ্যাকারদের কবলে পড়ার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের ভূমি দফতরের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে র‌্যাব বেআইনিভাবে তুলে নেওয়া এবং নির্যাতনের ফলে তার মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিএনপি মনে করে, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে একজন নারীকে কোনও সুনির্দিষ্ট মামলা ছাড়াই তুলে নেওয়া এবং ফলশ্রুতিতে মৃত্যু আবারও প্রমাণ করেছে এই সরকারের অধীনে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যথেচ্ছভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেই চলেছে। সুলতানা জেসমিন র‌্যাব কাস্টডিতে মারা গেছেন যা, চরমভাবে মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।’

 

 

বিএনপি ইসির আলোচনায় যাবে না : সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে ২ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রেখে ‘জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এটাতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছিল। আগে যেমন ছিল- যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে, তার সাতদিন আগে যেকোনো ইউলিটি বিল জমা দিতে হতো। না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হতো। এখন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত বিল জমা দেওয়া যাবে।’

‘মনোনয়নপত্রের সঙ্গে টিআইএন সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে ও কত টাকা আয়কর জমা দিয়েছে, সেটা রশিদ অনুযায়ী সাবমিট করতে হবে। এটা আগে ছিল না। এ দুটি অংশ যোগ করা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘আপনারা যারা গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষক, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখানে একটা বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের আইনানুগ কাজে বাধা দেয়, সেক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ধরুন আপনি ক্যামেরা নিয়ে গেলেন, হয়তো অনেক সময় হতে পারে মনোমালিন্য হলে আপনি বেরিয়ে যান (ভোট কেন্দ্র থেকে), ইত্যাদি ইত্যাদি (বেরিয়ে যেতে বলা হলো)।  আপনার যদি বৈধভাবে প্রবেশ করার অধিকার থাকে কিন্তু তারপরও বলপ্রয়োগ করে আপনাকে বের করে দেওয়া হলো, ক্যামেরা ভেঙে ফেলল ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। সেক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।’

মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘এটার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এখনো ফাইনাল করা হয়নি। আরও কিছু কারেকশন আছে। আরও কিছু মতামতসহ এটা আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। তারপরে আরও কিছু যদি সংযোজন হয়, সেটাসহ পাস করা হবে।’

আইনে ছোটখাটো অনেকগুলো বিষয় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেমন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের আগে শুধু ডিস্ট্রিক্ট (জেলা) উল্লেখ করা ছিল। এখন জেলার পরিবর্তে প্রতিটি আসনে হবে। অর্থাৎ ৩০০ আসনে ৩০০ জন রিটার্নিং অফিসার থাকবে- এমন আলোচনা হয়েছে।’

 

নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিলে ২-৭ বছরের জেল ; মন্ত্রীসভায় খসড়া নীতিমালা অনুমোদন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সংলাপের জন্য নয়, বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নিতে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অনেকেই এটাকে সরকারের কূটকৌশল হিসেবে মনে করেছেন। এই চিঠির সাথে সরকারের কোনো সংযোগ নাই। কূটকৌশল যদি হয়ে থাকে সেটা ইসির, সরকারের নয়।

নির্বাচন কমিশন সবসময় চায় দলীয় চর্চা ও সদিচ্ছার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কমিশন কোনো কাজ করে না। বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে কমিশনের জন্য ভালো বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।

বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে : সিইসি