25 Feb 2025, 07:39 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এডিস মশাবাহিত প্রাণঘাতী রোগ ডেঙ্গুর প্রথম ওষুধে আশা জাগানিয়া সাফল্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আমেরিকান সোসাইটি অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিনের বার্ষিক সভায় এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন।

জনসন অ্যান্ড জনসনের ইউরোপীয় শাখা জ্যানেসেনের প্যাথোজেন বিভাগের গবেষক মার্নিক্স ভ্যান লুক বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাদের তৈরি ডেঙ্গুর ওষুধটির মেডিকেল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে এবং সেই ট্রায়ালের ফলাফল বেশ সন্তোষজনক।

মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, ১১ জন স্বেচ্ছাসেবী এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। ট্রায়ারের প্রথম পাঁচ দিনের প্রতিনিদ এই তাদেরকে ওষুধের হাইডোজ সেবন করানো হয়েছে, তারপর স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মতির ভিত্তিতে তাদের দেহে প্রবেশ করানো হয়েছে ডেঙ্গু ভাইরাসের একটি দুর্বল ধরন, যেটি স্বাস্থ্যের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করতে বা ছড়িয়ে পড়তে অক্ষম।

তারপর ফের ২১ দিন তাদেরকে ফের নিয়মিত তাদেরকে খাওয়ানো হয়েছে সেই ওষুধ।

ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রবেশের কয়েক দিন পর ১১ স্বেচ্ছাসেবীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় ৬ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি; বাকি ৫ জনের দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হলেও তারা সবাই পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ ২১ দিনের আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ধরন রাজত্ব করছে। রয়টার্সকে মার্নিক্স ভ্যান লুক জানিয়েছেন, এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে প্রবেশ করবে জনসন অ্যান্ড জনসন এবং এই পর্যায়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের সবচেয়ে প্রচলিত চারটি ধরনের ওপর ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে।

ডেঙ্গু ভাইরাসের একমাত্র বাহক এডিস মশা। জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকায় গত প্রায় দু’দশক বিশ্বজুড়ে এডিস মশার বিস্তার বাড়ছে, তার সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও।

আবহাওয়াগত কারণে রোগের সবচেয়ে বেশি প্রকোপ পরিলক্ষিত হচ্ছে এশিয়ার মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলভূক্ত বাংলাদেশে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজারেরও বেশি মানুষ।

ডেঙ্গুর কোনো ওষুধ এখনও বাজারে আসেনি; এটির কোনো স্বীকৃত চিকিৎসাপদ্ধতিও নেই। মূলত এই কারণেই হুমকি হয়ে উঠেছে রোগটি।

জনসন অ্যান্ড জনসনের ওষুধটি যদি বাজারে আসে, সেক্ষেত্রে সেটি হবে বিশ্বের ইতিহাসে ডেঙ্গুর প্রথম ওষুধ।

কিন্তু জনসন অ্যান্ড জনসনের ওষুধটি কি এশিয়ার মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে?

রয়টার্সের এ প্রশ্নের জবাবে ভ্যান লুক বলেন, ‘আমরা সবে মাত্র ওষুধটির প্রথম ট্রায়াল শেষ করেছি। আরও অন্তত দু’টি ট্রায়াল বাকি রয়েছে এখনও। তবে আমরা আশা করছি, এটির কার্যকারিতা বিশ্বের সব অঞ্চলে একই রকম হবে।’

ডেঙ্গুর প্রথম ওষুধের ট্রায়ালে আশা জাগানিয়া সাফল্য পেলো জনসন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক দেশে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে আরও ২৩৫০ জন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন এসব শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১৫ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৩৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮ হাজার ২৩২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২ হাজার ৪৭২ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৭৬০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৪ হাজার ১৯৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৯ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৭ জন। ঢাকায় ৯০ হাজার ৯৭৩ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৪৯ হাজার ১২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

দেশে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু ; হাসপাতালে নতুন ভর্তি ২ হাজার ৩৫০

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জরুরিভিত্তিতে ফিলিস্তিনে ওষুধ পাঠাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে টেলিফোনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ফিলিস্তিনে ওষুধ সামগ্রী প্রেরণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের কষ্ট বোঝেন, ইসরায়েলের হামলায় হতাহত নারী-শিশুদের বেদনা অনুভব করছেন তিনি তার নিজের জীবনের হতাহতের ক্ষত থেকে। শিশু রাসেলের হত্যায় কী বেদনা হয়েছে সেটি প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন। এজন্যই বিশ্ব পরাশক্তিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফিলিস্তিনের নিরীহ অসহায় মানুষের জন্য কথা বলছেন, তাদের চিকিৎসা সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের আহত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে চাই। এক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে ওষুধ সামগ্রী পাঠাতে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভব সব চেষ্টাই করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাসেলের হত্যাকারী ঘাতকরা পৈশাচিক মানসিকতার মানুষ। তারা নিষ্ঠুর, ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট। পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেক রাষ্ট্রপ্রধানদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের কোথাও সপরিবারে হত্যার নজির দেখা যায়নি। এই হত্যাকাণ্ড একটি প্রতিশোধের হত্যাকাণ্ড। ৭৫’ ও ২১’ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের হোতারা একই। এই হত্যাকাণ্ডে অবশ্যই জামায়াত-বিএনপি’র পূর্বসূরিদের হাত ছিল। কারণ, জামায়াত-বিএনপি’র পূর্বসূরিদের স্বার্থই স্পষ্ট হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা কেবলই একটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, এটি ছিল জাতির ভবিষ্যৎ মেরুদণ্ডকে ভেঙে দিতে একটি পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতদের পরাজয়ের শোধ নিতে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও ধিকৃত উপায়ে কাপুরুষোচিত উপায়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। হত্যাকারী ঘাতকরা কেবল জাতির পিতা এবং নারীদের হত্যা করেই থামেনি। হত্যাকাণ্ডের দিন ছোট্ট শিশু রাসেল যখন মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল তখন ঘাতকরা সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে অত্যন্ত নির্মমভাবে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় খুন করে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্মসচিবরা।

সভায় দেশের আগামী শিশুদের রাসেলের মতো করে গড়ে তুলতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

ফিলিস্তিনে জরুরিভিত্তিতে ওষুধ পাঠাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু ১২০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৪৯৫ জন।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর ) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুই হাজার ৪৯৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৭৪ জন। ঢাকার বাইরে ১৯২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা তিনজন এবং ঢাকার বাইরের ১৩ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই লাখ ৪৭ হাজার ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৯৭৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৫১৪ জন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৬৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯০ হাজার ৪৬৯ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৪৭ হাজার ২১৯ জন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১৬ জনের মৃত্যু ; হাসপাতালে নতুন ভর্তি ২ হাজার ৪৯৫