অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নতুন প্রজন্মের কাছে জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু’র জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবার মাঠে নেমেছে ছেলের বাবা ও মেয়ের বাবার দল। শুনতে অবাক লাগলেও, এমনই এক ভিন্ন আয়োজন করেছে শেরপুর পৌর শহরের মোবারকপুর কল্যাণ সংস্থা। খেলাটির অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ব্যস্ত সময়েও প্রতি বছর হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করছে এ সংগঠনটি।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও জৌলুশ হারিয়ে কদর কমেছে এ খেলার। এ খেলার অস্তিত্ব এখন শুধু বইয়ের পাতায়। তবে হা-ডু-ডু খেলা এখনো যে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের কাছে প্রিয় তাই দেখা গেলো শেরপুর শহরের মোবারকপুর মহল্লার মাঠে। খেলায় দর্শকের ভিড় ছিল উপচে পড়া আর দুই দলের মধ্যে ছিল টান টান উত্তেজনা। পেশাদার না হয়েও নিজ দলকে জেতানোর চেষ্টা ছিল সবার মধ্যে। ঐতিহ্যের খেলা দেখতে ভিড় করেছে ছেলে বুড়ো সবাই।
খেলা দেখতে আসা স্কুল ছাত্র রিমন বলেন, আমরা বইয়ে পড়েছি হা-ডু-ডু আমাদের জাতীয় খেলা। অথচ এই খেলা আমরা দেখার সুযোগই পাই না। আজকে এখানে এ আয়োজনের কথা শুনে আমরা বাবা মায়ের সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছি।
কলেজ ছাত্রী সায়েমা বলেন, আমাদের দেশে ক্রিকেট আর ফুটবল নিয়ে যতটা মাতামাতি, ততটা মাতামাতি হা-ডু-ডু নিয়ে নেই। কিন্তু এটাই আমাদের ঐতিহ্যের খেলা। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের হা-ডু-ডু খেলার চর্চা জরুরি।
এলাকার ছেলের বাবাদের হারিয়ে জয়ী হয়েছে মেয়ের বাবার দল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে জিতেছে এগারোটি ছাগল। রানার্স আপ হয়ে ছেলের বাবারা পেয়েছেন এগারোটি মোবাইল ফোন।
কিশোরী পৃথ্বী বলেন, আমার চাচ্চু মেয়ের বাবার দলে খেলেছেন। আমি খুব ভয়ে ছিলাম। যাক, সবশেষ চাচ্চুর দল জিতে গেছে। তাহমিনা বলেন, আমার বাবা খেলায় অংশ নিয়েছিলো। বাবার দল জিতে যাওয়ায়, আমি খুব খুশি।
নতুন প্রজন্মের কাছে খেলাটির জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রতি বছর গ্রামীণ এ খেলার আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন আয়োজক সংগঠনের নেতারা।
মোবারকপুর কল্যাণ সংস্থার সভাপতি এমদাদুল হক মিলন বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ খেলা ফিরিয়ে আনতে ও যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতেই এমন আয়োজন।
এদিকে হাডুডু খেলাতে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতা করার আশ্বাস দিয়েছেন পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া।
Leave a Reply