অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের মাধ্যমে এই এলাকার কৃষি ও পশুসম্পদ এবং মৎস শিকারের খাত ধ্বংস হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবু ওবায়দা বলেছেন, “গাজা যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদী আগ্রাসী বাহিনী এই উপত্যকায় কৃষিজাত পণ্যের চাষবাদের অধীনে থাকা ৮৫ ভাগেরও বেশি এলাকা ধ্বংস করেছে। পার্সটুডের মতে আবু ওদেহ আরো বলেছেন, দখলদার ইহুদিবাদী বাহিনী এ উপত্যকার ৯৫ ভাগ পশুসম্পদ এবং ৯৭ শতাংশেরও বেশি মৎস্য খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মতে ইহুদিবাদী বাহিনী গাজাবাসীর মাছ ধরার নৌকাকেও লক্ষ্যবস্তু করছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর পূর্ণ সমর্থনে ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠী ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র ও নির্যাতিত জনগণের বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকা এবং জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে একটি নতুন গণহত্যা শুরু করেছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ১ লাখ ৫ হাজারেরৃ বেশি লোক আহত হয়েছে।
ইসরাইলি শাসন ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার নকশার ফসল এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৪৮ সালে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা এবং তাদের সমগ্র ভূমি দখলের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনামূলক গণহত্যা চালানো হয়েছে।ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দেশ ইসরাইলের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং ইহুদিদেরকে তাদের মূল দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জোরালো সমর্থক।
Leave a Reply